প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের আগেই কখনও মজা করে কানাডাকে মার্কিন অঙ্গরাজ্য করার 'প্রস্তাব' দিয়েছেন, কখনও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার কথা বলেছেন। এরই সঙ্গে এর আগে পানামা খাল পুনর্দখলের বার্তাও শোনা গিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায়। আর ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার ওভাল অফিসে ঢুকতে না ঢুকতেই ফের তাঁর গলায় 'পানামা কানাল ফিরিয়ে নেওয়ার' কথা। নিজের 'অভিষেক ভাষণে' ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা পানামা খাল ফিরিয়ে নেবে। তাঁর অভিযোগ, পানামা খাল হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি পানামা। ট্রাম্পের দাবি, পানামা এই খালে চিনা প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিচ্ছে। যদিও ট্রাম্পের এই অভিযোগ খারিজ করেছে পানামা সরকার। (আরও পড়ুন: 'একা' হলেন মাস্ক, ট্রাম্পের মনোনীত DOGE কো-চেয়ারম্যানের পদে থাকবেন না রামাস্বামী)
তবে ট্রাম্প অভিষেক ভাষণে বলেন, 'আমরা এই খাল তো চিনকে দিইনি, দিয়েছিলাম পানামাকে। আর এখন আমরা এটা ফেরত নেব।' এদিকে পানামা খাল কীভাবে আমেরিকা 'ফিরিয়ে নেবে', সেই সংক্রান্ত কোনও বিস্তারিত তথ্য ট্রাম্প দেননি। এর আগে অবশ্য এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সামরিক অভিযানের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেননি ট্রাম্প। এই আবরে তাঁর অনেক সমালোচনাও হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই পানামা খাল একদা তৈরি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘকল সেটি ছিল মার্কিন নিয়ন্ত্রণেই। তবে প্রেসিডেন্ট কার্টার চুক্তি করে সেটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন পানামাকে। সেই অনুযায়ী, ১৯৯৯ সাল থেকে সেই খালটি পানামার হয়ে যায়। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সম্প্রতি পানামা খাল দিয়ে মার্কিন জাহাজের যাতায়তে অনেক বেশি চার্জ করা হচ্ছে।
তবে ট্রাম্পের যাবতীয় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি বার্তা লিখে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো দাবি করেন, আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বের বাণিজ্যের স্বার্থে দায়িত্ব সহকারে পানামা খাল পরিচালনা করছে তাঁর দেশ এবং সেটা তারা ভবিষ্যতেও করতে থাকবে। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েই তিনি কানাডার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছেন। জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা করার সময় মজার ছলে আবার তাঁকে 'গভর্নর' বলে সম্বোধন করেছিলেন ট্রাম্প। এদিকে গ্রিনল্যান্ডকে কিনে নিয়ে সেটিকে মার্কিন ঘাঁটি করার কথাও শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পের গলায়। এই আবহে মার্কিন মিত্র দেশগুলির মধ্যে তাই শঙ্কার মেঘ জমছে। মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্পের এহেন বক্তব্য এবং মনোভাব পুতিন এবং জিনপিংয়ের সম্প্রসারণ নীতিকে 'যথাযথ' প্রমাণিত করবে।