আগামী সপ্তাহের ১২ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা যেতে চলেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন। আর এরই মাঝে ৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, আগামী সপ্তাহে 'রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ' আরোপ করবেন তিনি। তাঁর এই ঘোষণা ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, এই পদক্ষেপ 'সবাইকে প্রভাবিত করবে'। উল্লেখ্য, বিগত দিনে শুল্ক ইস্যুতে বারংবার ভারতের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এরই মাঝে সাম্প্রতিক বাজেটে ভারত মার্কিন বাইক হারলে ডেভিডসনের শুল্ক কমানোর ঘোষণা করে। এরই মাঝে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর দেখা হওয়ার কথা। (আরও পড়ুন: 'শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস করবেন না', বাংলাদেশিদের বার্তা ইউনুসের)
আরও পড়ুন: মাকে দেখতে ভিসা না পেয়ে কনস্যুলেটে 'অনুপ্রবেশ' ভারতীয়-আমেরিকান বামপন্থী নেত্রীর
এদিকে বর্তমানে মার্কিন সফরে আছেন জাপানের প্রধানন্ত্রী শিগেরু ইশিবার। শুক্রবার শিগেরু ইশিবারর সঙ্গে এক বৈঠকেই ট্রাম্প ঘোষণা করেন, আগামী সপ্তাহে তিনি পারস্পরিক শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ 'সবাইকে' প্রভাবিত করবে। ট্রাম্প বলেন, 'পারস্পরিক বাণিজ্যের বিষয়ে আমি আগামী সপ্তাহে এটি ঘোষণা করব। অন্যান্য দেশের মতো যাতে আমাদের সঙ্গেও সমান আচরণ করা হয়, তার জন্যেই এই ঘোষণা করা হবে। আমরা না বেশি কিছু চাই, না কম কিছু পেতে চাই। আমি মনে করি এটা ন্যায্য হবে। এর জেরে কেউ মনে কষ্ট পাবে না। তারা আমাদের ওপরে শুল্ক চাপায়, তাই আমরাও একই কাজ করব।' ট্রাম্প ইঙ্গিত করেন, যানবাহনের ক্ষেত্রে এই রেসিপ্রোকাল শুল্কের ফোকাস বেশি থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো 'বিপ্লবীদের' মারধর স্থানীয়দের, জখম ১৫)
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে সম্প্রতি সিবিএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমরা এতটা বোকা দেশ নই যে এত বাজে করব। ভারতের দিকে দেখুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার খুব ভালো বন্ধু। তবে তারা কী করে দেখুন। মোটোরসাইকেলের ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। আমরা তাদের পণ্যের ওপর কোনও শুল্ক ধার্য করি না। যখন হারলে ভারতে বাইক পাঠায়, তখন সেগুলির ওপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। আর ভারত যখন এত এত বাইক পাঠায় এখানে, তখন আমরা কোনও শুল্ক ধার্য করি না। আমি তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে বলেছিলাম, এটা ঠিক হচ্ছে না। আমার একটা ফোনেই হারলের শুল্ক হার ৫০ শতাংশ কাটছাঁট করা হয়েছিল। তবে আমি বলেছিলাম, এটা এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ৫০ শতাংশ বনাম শূন্য। তারা বলে যে এটা নিয়ে তারা কাজ করছে।' উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত হারলে ডেভিডসনের ওপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছিল। আর এবারের বাজেটে তা আরও কিছুটা কমল।