গাজা ভূখণ্ডের দখল নেবে আমেরিকা। এমনই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের 'গাজা ঘোষণা'র পরপরই এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সারা বিশ্বে। এই নিয়ে গতরাতে নিজের বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। এটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, 'যুদ্ধ শেষে আমেরিকার হাতে গাজা ভূখণ্ড তুলে দেবে ইজরায়েল। প্যালেস্তিনীয় এবং চাক শুমারদের (মার্কিন সেনেটে মাইনরিটি লিডার, ডেমোক্র্যাট) মতো মানুষরা ইতিমধ্যেই নিরাপদ এবং সুন্দর সমাজে বসবাস শুরু করে দিয়েছে। তাদের এখন অত্যাধুনিক বাড়িঘর আছে। তারা সুখে, শান্তিতে আছে, স্বাধীন আছে।' (আরও পড়ুন: আমেরিকা ও মিত্রদের 'নিশানার জের', আন্তর্জাতিক আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের)
আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশে কি হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ভারত? সংসদে জবাব দিল মোদী সরকার
এরপর ট্রাম্প আরও লেখেন, 'বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ করা দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ধীরে ধীরে গাজায় নির্মাণকাজ শুরু করবে আমেরিকা। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্নয়নমূলক প্রকল্প হবে। এতে আমেরিকার কোনও সেনা জওয়ানের প্রয়োজন পড়বে না। এতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।' (আরও পড়ুন: ধানমন্ডির 'আগুন' ছড়িয়েছে আরও ৩৫ জায়গায়, বাংলাদেশ কি ইউনুসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে?)
এর আগে ১৭ জানুয়ারি হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে ইজরায়েলের নেতানিয়াহুর সরকার। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল গাজায়। কাতারের দোহায় দীর্ঘ ৯৬ ঘণ্টার আলোচনার পরে এই যুদ্ধবিরতির জন্যে ইজরায়েল এবং হামাসকে রাজি করানো হয়। এই যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যদিও সেই সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পদে বসেননি। (আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশে কি হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ভারত? সংসদে জবাব দিল মোদী সরকার)
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে আচমকাই ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। নির্বিচারে খুন করা হয়েছিল ইজরায়েলের সাধারণ মানুষজনকে। অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বহু ইজরায়েলিকে। এদিকে এই সুযোগে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালানো হয় লেবানন থেকেও। অভিযোগ, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা গোষ্ঠী ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় লেবানন থেকে। এই আবহে লেবাননকে পালটা জবাব দিয়েছে ইজরায়য়েলও। এদিকে গাজায় ঢুকে পড়ে হামাসকে তাড়া করেছিল ইজরায়েলি সেনা। এই সবের মাঝেই ইরানও মিসাইল হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে। উল্লেখ্য, ইরানে থাকা হামাস প্রধান শিনওয়ারিকে এর আগে খতম করে ইজরায়েল। সব মিলিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল গাজা যুদ্ধের আঁচ। এই আবহে ইজরায়েলি হামলায় প্রায় ৫৩ হাজার প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, হামাসের আক্রমণে নিহত প্রায় দু’হাজার ইজরায়েলি।