পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দরজা চিরতরে বন্ধ করতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্রের খবর, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছেন তিনি। তবে শুধু পাকিস্তান, আফগানিস্তান নয় আরও বেশ কয়েকটি দেশের উপর কার্যকর হতে পারে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। (আরও পড়ুন: প্রতিদিন ১৩০০০ কোটির ক্ষতি! বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সম্পদ হারানো ব্যক্তি ইলন মাস্ক)
রয়টর্স সূত্রে খবর, হোয়াট হাউসে অধীশ্বর হওয়ার পর প্রশাসনিক স্তরে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন ট্রাম্প। যেখানে বলা হয় দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি তালিকা তৈরি করার। কোন কোন দেশের নাগরিকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তা ঝাড়াই বাছাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১২ মার্চ পর্যন্ত সেই তালিকা তৈরির ডেডলাইনও দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। কোন কোন দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে আংশিক ও পূর্ণ বৈধতা দেওয়া হবে সে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই তালিকায় নাম নেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের। এদিকে, গত মঙ্গলবার রাতেই পাকিস্তানের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২১ সালে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বোমা বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড মহম্মদ শরিফুল্লার গ্রেফতারের খবর জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যে ঘটনায় ১৩ জন মার্কিন সেনা-সহ ১৭০ জন সাধারণ আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়। এই গ্রেফতারির জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের প্রশংসাও করেন তিনি। তার ঠিক পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। (আরও পড়ুন: PCB সভাপতিকে নিয়ে লাহোরে প্রভু রামের পুত্র লবের সমাধিতে BCCI সহসভাপতি! দেখুন ছবি)
আরও পড়ুন: এই রুটে দিল্লি যাবে বন্দে ভারত স্লিপার? জানুন কোথা থেকে ছাড়তে পারে ট্রেনটি
আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে 'বাজে খবর' অপেক্ষা করছে সরকারি কর্মীদের জন্যে? বড় আপডেট রিপোর্টে
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আসলে পাকিস্তান যে বিশ্বসন্ত্রাসের জনক হয়ে উঠেছে তা এখন আর কারও কাছে অজানা নয়। পাকিস্তানের মাটিতে ফুলে ফেঁপে উঠছে একের পর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। এবং এই সন্ত্রাসকে আস্কারা দিয়ে চলেছে আইএসআই। যদিও বিশ্বের কাছে নিজের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে মাঝে মাঝেই সন্ত্রাসবিরোধী মুখোশ পরে পাক সরকার। ট্রাম্প পাকিস্তানের এই ছক ভালোই বোঝেন। যার জেরেই দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তানের জন্য মার্কিন দরজা বন্ধ করতে চলেছেন তিনি। তবে ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপ এই প্রথমবার নয়, ২০১৭ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের উপর মার্কিন সফরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে বাইডেন ক্ষমতায় এলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন।