ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হতে চলেছেন ভারতীয় ককাসের প্রধান মাইক ওয়াল্টজ। উল্লেখ্য, মাইক ওয়াল্টজ এর আগে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বোঝাপড়া বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নিকি হ্যালির সঙ্গে মিলে একটি 'অপ-এড' লিখেছিলেন মাইক ওয়াল্টজ। সেখানেই ভারত নিয়ে তাঁর বক্তব্য ছিল, 'এমন সব দেশের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত, যার ফলে বিশ্বে আমাদের অবস্থান আরও দৃঢ় হতে পারে। আর এই বন্ধুত্বের হাত সবার আগে ভারতের দিকেই এগিয়ে দেওয়া উচিত।' (আরও পড়ুন: LAC চুক্তির পর লাদাখে প্রথম দফায় টহল ভারত-চিনের, কীভাবে এড়ানো হচ্ছে সংঘাত?)
সেই 'অপ-এডে' লেখা হয়েছিল, একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত। তাদের সেনার সংখ্যা ১০ লাখ। তাদের মহাকাশ প্রোগ্রাম দুর্দান্ত। তাদের নৌবাহিনী ক্রমেই বেড়ে উঠছে। ঐতিহাসিক ভাবে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার অর্থনৈতিক এবং সামরিক বোঝাপড়া থেকেছে। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক দৃঢ় হলে দুই দেশই বিশ্বমঞ্চে তাদের শক্তিবৃদ্ধি করতে পারবে। আফগানিস্তানের হুমকি হোক কি চিন, তাদের মোকাবিলা করতে ভারতের সঙ্গে জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াও সাহায্য করতে পারে আমেরিকাকে।' (আরও পড়ুন: WB By-Election Live: বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নৈহাটিতে)
আরও পড়ুন: Jharkhand Vote Live: ঝাড়খণ্ডের ভোটে ইস্যু 'বাংলাদেশ', JMM-BJP লড়াইয়ে এগিয়ে কে?
এদিকে তাজিকিস্তানে ভারতের ফারখোর এয়ার বেসের কথা উল্লেখ করে ওয়াল্টজ এবং হ্যালি বলেছিলেন, 'আফগানিস্তানে কোনও সমস্যা হলে সেখানে হামলা চালানো জন্যে সবথেকে কাছের বায়ুসেনা ঘাঁটি হতে পারে ভারত পরিচালিত ফারখোর বেস। ভারতের সঙ্গে জোট থাকলে আমেরিকাকে এই বেস ব্যবহার করতে দিতে পারে তারা। আর আফগানিস্তানের পাশাপাশি চিনের ওপর নজরদারি চালাতে পারে, এমন একজন পার্টনারই আাদের আছে। সেখা হল ভারত। ভারত এবং মার্কিন জোট চিনের ওপর টেক্কা দিতে পারে। আমেরিকার মতোই ভারতও উপলব্ধি করে যে চিন ক্রমেই একটি বড় হুমকিতে পরিণত হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, এর আগে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত থেকেছেন মাইক। তিনি আফগানিস্তান বিষয়ক নীতি নির্ধারক পরামর্শদাতাও ছিলেন পেন্টাগনের। এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের আর্মড সার্ভিস কমিটির প্রধান হিসেবে তিনি বাইডেন প্রশাসনকে আফগান নীতি নিয়ে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছিলেন। যেভাবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল এবং বিপুল সংখ্যক মার্কিন অস্ত্র তালিবানের হাতে চলে যায়, তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মাইক।
এদিকে চিন ইস্যুতেও বেশ কঠোর মনোভাব পোষণ করেন মাইক। চিনের আগ্রাসী অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে তিনি বারংবার সরব হয়েছেন এর আগে। এদিকে চিনের বিরুদ্ধে প্রযুক্তি চুরির যে অভিযোগ ওঠে তা নিয়েও সরব তিনি। এই আবহে চিনের ওপর মার্কিন নির্ভরতা কমানোর পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে সওয়াল করে এসেছিলেন মাইক। এদিকে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচার এবং কোভিড ইস্য়ুতে চিনে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন মাইক।