‘স্ট্যান্ডার্ড আর নামাবেন না’, সুপ্রিম কোর্টের তরফে এমন মন্তব্য করেই বার কাউন্সিলের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় আইন শিক্ষার মান নিয়ে। এরপর বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে আইন স্কুলের প্রবেশিকা পরীক্ষার মান কমানো থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘আইন নিয়ে পড়াশোনা করে এমন সব অসামাজিক ব্যক্তিরা আইনের ডিগ্রি লাভ করেছেন যারা হয়ত বা একদিনও ক্লাস করেননি।’
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও বিচারপতি এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ বার কাউন্সিলের আইনজীবীকে বলে, ‘আপনারা নিজেদের প্রবেশিকা পরীক্ষার দিকে দেখুন। আপনারা পরীক্ষার মান কমাতেই থাকছেন। আপনাকে মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রবেশিকা পরীক্ষার মান কমাতে থাকবেন না। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের জন্য ICAI কীভাবে এটি করে তা দেখুন। তারা তাদের মান নিয়ন্ত্রণ করে এটা নির্ধারণ করেন যে কারা অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই বিষয় নিয়ে আপনাদের একটি আত্মসমীক্ষা করা উচিত।’
আইন শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য শীর্ষ আদালত ভারতে আইনী পেশার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে পরামর্শ দিয়ে বলে, ‘আপনাকে একটি দ্বিমুখী পন্থা অবলম্বন করতে হবে – পরীক্ষায় মানদণ্ড কঠোর করা এবং প্রবেশের স্তরে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। আপনি যদি আরও ভালো মান চান তবে আপনাকে অবশ্যই এই দুটি জিনিস করতেই হবে।’
শীর্ষ আদালত আরও বলে, ‘আমরা মনে করি আপনার সমস্যা আইন স্কুল থেকে শুরু হচ্ছে। একটি রাজ্যে নাকি শতাধিক আইন স্কুল আছে। এত আইনের শিক্ষক কোথায় পাওয়া যায়? আমাদের মনে হয়, এই বিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগই কাল্পনিক।’ উল্লেখ্য, বার কাউন্সিলের তথ্য পরিসংখ্যান অনুসারে, সারা দেশে প্রায় ১৫০০ আইন কলেজ রয়েছে। মোট আইন কলেজের প্রায় ৭৫ শতাংশই বেসরকারি। এই আবহে আইন শিক্ষার মান ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে বলে উদ্বেগ শীর্ষ আদালতের।