দিনকয়েকের জন্য সুপ্ত ছিল ‘আগ্নেয়গিরি'। আবারও তা থেকে ‘অগ্ন্যুৎপাত’ শুরু হল। তার জেরে নতুন করে দ্বন্দ্ব শুরু হল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এবং পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর। কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মতো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুর’ মন্তব্য করার জন্য দুই উপদেষ্টার উপর ‘লাগাম’ টানার পরামর্শ দিলেন অমরিন্দর।
রবিবার বিবৃতি জারি করে ‘দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সম্ভাব্য বিপজ্জনক এমন নিষ্ঠুর ও অকল্পনীয় মন্তব্য’ করার জন্য সিধুর দুই উপদেষ্টা প্যায়ারে লাল গর্গ এবং মালবিন্দর সিংকে সতর্ক করে দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আর্জি, সিন্ধুকে পরামর্শ দেওয়ার কাজ করে যান প্যায়ারে এবং মালবিন্দর। এমন কোনও বিষয় নিয়ে মুখ খোলা উচিত নয়, যে বিষয়ে স্পষ্টত তাঁদের জ্ঞান নেই এবং তাঁদের মন্তব্যের কী প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারার রদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মালবিন্দর। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেছিলেন যে যদি কাশ্মীর ভারতের অংশ হয়, তাহলে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ধারা থাকার প্রয়োজন আছে। প্যায়ারে এবং মালবিন্দরের সেই ‘অভাবনীয় বিবৃতি' নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অমরিন্দর। যা পাকিস্তান নিয়ে ভারত সরকার এবং কংগ্রেসের অবস্থানের বিপরীত। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং আছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘এটা সম্পূর্ণ দেশবিরোধী।’
মাসখানেক আগে ঘরোয়া বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে হস্তক্ষেপ করতে হয় হাইকমান্ডকে। কৃষক আন্দোলন, এনডিএতে ভাঙনের মধ্যে যে সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ফায়দা তোলার জন্য পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে তৎপরতা শুরু হয়েছিল। সেইসঙ্গে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছিল, আগামী বছর পুরনো ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বেই ভোটের ময়দানে নামবে কংগ্রেস। সিধুও যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাবেন, তা কংগ্রেসের অভ্যন্তরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল। প্রথম থেকেই সিধুকে পঞ্জাবে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে বসানোর বিরোধিতা করে আসছিলেন অমরিন্দর। পরে কিছুটা সুর নরম করেন। নভজ্যোতকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়।