করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউতে গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে শিশুদের উপর। এই আশঙ্কা করছিলেন বহু বিশেষজ্ঞ। এই পরিস্থিতিতে এবার অভয় দান করে এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া দাবি করলেন, শিশুদের উপর করোনার গুরুতর প্রভাব পড়বে না। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার মনে হয় না ভবিষ্যতে করোনার প্রভাব গুরুতর ভাবে শিশুদের উপর পড়তে চলেছে।'
ডঃ গুলেরিয়া বলেন, 'বিশ্ব বা ভারতে এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বা পর্যবেক্ষণ করা হয়নি যা থেকে স্পষ্ট ভাবে দাবি করা যায় যে ভবিষ্যতে শিশুদের উপর করোনার প্রভাব গুরুতর হতে চলেছে। দ্বিতীয় ঢেউ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে যে শিশুরা করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের উপসর্গ কম ছিল। বিশ্বের অন্য প্রান্তেও যেখানে সংক্রমণের নতুন ঢেউ আছড়ে পড়েছে, সেখানেও এরকম কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি যা থেকে বোঝা যাবে যে করোনার প্রভাব গুরুতর ভাবে পড়ছে শিশুদের উপর।'
এইমস প্রধান জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়া শিশুদের অধিকাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়নি। এমনিতেই সুস্থ হয়ে যায় তারা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের ৬০-৭০ শতাংশ কোমর্বিডিটি আক্রান্ত ছিল। ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদেরই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর।
এদিকে দেশের করোনা গ্রাফ ধীরে ধীরে নিম্নগামী হচ্ছে। বহুদিন পর আজ দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ নেমে এল ১ লাখের নিচে। টানা ৬৩ দিন পর দৈনিক সংক্রমণ নেম এল লাখের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ হাজার ৪৯৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।গতকালের চেয়ে ১৪ হাজার ১৩৮ জন কম মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আজ। বর্তমানে দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৪.৬১ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে আড়াই হাজারের নিচে নেমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১২৩ জনের।