মণিপুর ইস্যু নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এই দাবি তুলে সংসদ ভবনের সামনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না শুরু করল বিরোধ জোট ‘ইন্ডিয়ার’ দলগুলি। এই ধর্নায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার অযোগ্য’। এদিন তিনি বাংলার বঞ্চনা নিয়েও ধর্না থেকে সরব হন।
এদিন তিনি বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখারও প্রসঙ্গও তুলে বলেন, ‘১৫০০ কোটি টাকা খরচ করে নয়া সংসদ ভবন তৈরি করেছে এই সরকার। আপনারা বাংলার সাধারণ মানুষের টাকা আটকে রাখেন।’
(পড়তে পারেন। ‘মণিপুরের অবস্থা বাংলার চেয়ে ভাল হলে ইন্টারনেট চালু করুন’, ধরনা থেকে সওয়াল অভিষেকের)
সাংবাদিকদের কাছে মণিপুরে প্রসঙ্গে কেন্দ্রে ভূমিকা নিয়ে সরব হন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘মণিপুর থেকে নজর ঘোরাতে বাংলা, ছত্তিশগড়, রাজস্থানের প্রসঙ্গ তুলছেন বিজেপির নেতা, মন্ত্রীরা। কিন্তু তাতে কোন লাভ নেই। বাংলায় কখনও ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি। মণিপুরে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কী ঘটেছে সবাই তা বুঝতে পারছেন। সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে নেট চলছে আর ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে নেট বন্ধ। এটা স্পষ্ট করে দেয় কতটা অযোগ্য বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার।’
এদিন সকালে বিরোধীদের ধরনার আগেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসে বিজেপি। এই ধরনা মূলত বাংলার বিজেপি সাংসদরাই ছিলেন। এই ধরনায় ছিলেন, সুকান্ত মজুমদার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, খগেন মুর্মুরা। তাঁরা বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে তাঁদের মূল নিশানা ছিল মালদার নারী নিগ্রহের ঘটনা। তাঁর এর বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন।
বিজেপির এই পাল্টা ধরনা নিয়ে টুইটে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। তিনি লিখেছেন, 'নিঃসন্দেহে ইন্ডিয়া (বিরোধী জোট) সঠিক পথে চলছে, মণিপুরের পাশে দাঁড়াতে আমরা বেশ কিছুদিন আগেই আজকের ধর্না কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের দেখে বিজেপি তড়িঘড়ি করে একই জায়গায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে'।