করোনার উৎপত্তি নিয়ে বিতর্ক থামার নাম নেই। এই আবহে কয়েকদিন আগেই মার্কিন সংবাদপত্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার কয়েকদিন আগেই উহানের ল্যাবের তিন গবেষক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অসুস্থ গবেষকদের মধ্যে মরশুমি অসুস্থতার লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। যেই দাবি ঘিরে শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা। এই আবেহ করোনার উৎস নিয়ে ফের সন্দেহ প্রকাশ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ অ্যান্থনি ফাউসির।
এদিন ডঃ ফাউসি বলেন, 'আমি নিশ্চিত নই যে করোনা ভাইরাস স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়মে ছড়িয়ে পড়েছে বা জন্ম নিয়েছে।' করোনা ভাইরাসের উৎস খুঁজে বের করতে ফের একবার তদন্তের দাবি তোলেন হোয়াইট হাউজের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ অ্যান্থনি ফাউসি। উল্লেখ্য, করোনার উৎস নিয়ে চিন-আমেরিকা চাপানউতোর দুই দেশের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছে।
এদিকে আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স-এর একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে রবিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একটি সংবাদে দাবি করে যে চিন থেকে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়ার আগে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে উহানের তিন গবেষককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে মরশুমি অসুস্থতার লক্ষণ দেখা গিয়েছিল যার মিল আছে কোভিড-১৯-এর উপসর্গের সঙ্গে।
চিনের কোনও গবেষণাগার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বের বিরুদ্ধে বার বার লড়াই করেছে বেজিং৷ এর আগে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন চিনের কোনও একটি ল্যাব থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে৷ আর সে সময় অনেকে তাঁকে সমর্থন করেছিল৷ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চিন জানায় যে সেখানে বহু সংখ্যক মানুষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে৷ এরপরই ধীরে ধীরে করোনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। যেই অতিমারীর জেরে এখনও ভুগছে গোটা বিশ্ব।
এদিকে সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সংবাদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বিষয়টিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন৷ এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগে কোভিড-১৯-এর কোনও খবর পাওয়া যায়নি৷ এদিকে করোনার উৎস নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুসন্ধানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ আর তার আগেই ওয়াল স্ট্রিট এই সংবাদ প্রকাশ করে৷