দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের বিভিন্ন হাইভোল্টেজ প্রজেক্ট যা ডিআরডিওতে নির্মিত হচ্ছে, তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান দিল ক্যাগের রিপোর্ট। কম্প্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া-র রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ডিআরডিওর তরফে তৈরি নানান প্রজেক্ট ঘিরে বেশ কিছুটা সমস্যা জড়িয়ে রয়েছে। কোনও প্রজেক্ট সময়ের নিরিখে পিছিয়ে পড়েছে, দামের নিরিখে তা মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে। এছাড়াও বিস্ফোরক তথ্যে ক্যাগ জানিয়েছে, ডিআরডিওর বহু প্রজেক্টকে সাফল্যের সবুজ সংকেত দেওয়া হলেও তা বেশ কয়েকটি বস্তুনিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি।
ক্যাগের রিপোর্টে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে, বহু ‘মিশন মোড’ প্রজেক্টকে ডিআরডিও সফল বলে বর্ণনা করলেও পরে তাকে নতুন করে করতে হয়েছে, লক্ষ্য পূরণ করার অভাবে। বুধবার সংসদে ক্যাগের এই রিপোর্ট পেশ হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ডিআরডিওর বহু প্রজেক্টকে সফল বলে ঘোষণা করে আগেভাগে বন্ধ করে দেওয়ার পর মিলেছে তার লক্ষ্যপূরণের খামতি ঘিরে তথ্য। যদিও বিষয়টি নিয়ে ডিআরডিওর তরফে কেউ মন্তব্য করতে চাননি। মূলত, ক্যাগের রিপোর্টে যে ‘মিশন নির্ভর’ প্রজেক্টগুলির কথা বলা হয়েছে, তা হল প্রয়োজন অনুয়ায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পাওয়া প্রজেক্টগুলি। খুব কম সময়ের নোটিসে এই প্রজেক্টগুলিকে শেষ করার কথা বলা হয়। ক্যাগের রিপোর্টে এই তথ্যকে প্রতিষ্ঠা করতে পেশ করা হয়েছে কিছু পরিসংখ্যান। সেখানে বলা হয়েছে, ১৭৮টির মধ্যে ১১৯ টি প্রজেক্টে আসল সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করা যায়নি কাজ। ৪৯ টি প্রজেক্টে যে বাড়তি সময়সীমা নেওয়া হয়েছে তা ১০০ শতাংশের বেশি। সব মিলিয়ে দেরিতে হওয়া কাজ ১৬ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত সময়সীমায় হয়েছে।
ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে ‘মাল্টি মিশন প্রজেক্টে সময় পেরিয়ে গিয়েছে এমনও হয়েছে, ’। ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, কখনও কখনও এমনও হয়েছে, যে প্রযুক্তি প্রাপ্যতা সত্ত্বেও এটির ফলাফল উচ্চতর হওয়ার অবকাশ ছিল, তবে কখনও ডিআরডিওর নিজস্ব দেরি বা অনুমোদনে দেরির জন্য প্রজেক্টগুলিতে দেরি হয়ে যায়। রিপোর্টে দেওয়া চাঞ্চল্যকর তথ্যে বলা হয়েছে, কয়েকশো কোটি টাকার প্রজেক্টকে সফল বলে ঘোষণার পর দেখা গিয়েছে তারমধ্যে খামতি রয়ে গিয়েছে। বলা হচ্ছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এমন ৮৬ টি প্রজেক্ট রয়েছে। ডিআরডিও ১৫ টি প্রজেক্টের জন্য ৫১৬.৬১ কোটি টাকা খরচ করেছে যেখানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করার জন্য বাড়তি সময়ে তা করার প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে।