অগ্রিম সতর্কতা এবং নিয়ন্ত্রণে সক্ষম বিশেষ বিমান (AEW&C) তৈরি করবে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গনাইজেশন। এই প্রকল্পে মোট ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিল ভারতের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে এয়ারবাস কিনে তাতে বিশেষ 'অগ্রিম সতর্কতা' ব্যবস্থা স্থাপন করে তা বায়ুসেনার হাতে তুলে দেবে ডিআরডিও।
পাশাপাশি বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি ৫৬টি সি-২৯৫ মিডিয়াম বিমান কেনার প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে। এগুলি বায়ুসেনার পুরোনো অ্যভরো-৭৪৮ বিমানের স্থান নেবে। ৫৬টি সি-২৯৫ মিডিয়াম বিমান কিনতে ভারতের প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে ১৬টি বিমান সরাসরি এয়ারবাস সংস্থা থেকে কেনা হবে। বাকি ৪০টি বিমান ভারতে অ্যাসেম্বল করা হবে TASL-এর তরফে।
এদিকে জানা গিয়েছে ডিআরডিও-র নয়া AEW&C সিস্টেমটি এয়ারবাস এ৩২১ বিমানে স্থাপন করা হবে। এই 'নেত্র' সিস্টেমটির রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সিস্টেম প্রথমবার ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তুলে দিয়েছিল ডিআরডিও। সেবারে এই নেত্র সিস্টেমটি ইনস্টল করা হয়েছিল ব্রাজিলের এম্ব্রেয়ার-১৪৫ জেট বিমানে। ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ইজরায়েলের ফ্যালকন AEW&C সিস্টেমের তিনটি বিমান আছে। এই সিস্টেমটি রাশিয়ার আইএ-৭৬ বিমানে ইনস্টল করা রয়েছে।বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে হানার সময় মিরাজকে পথ দেখিয়েছিল এই ‘নেত্র’ সিস্টেমের বিমান। ‘নেত্র', অর্থাৎ ‘চোখ'। যার মূল কাজ হল নজরদারি চালানো। কোনও মিসাইল যদি ধেয়ে আসে, তবে তা ইনফ্রারেড রশ্মির সাহায্যে অনেক আগে থেকেই বুঝে যেতে পারে এই 'নেত্র'।