অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে পুঁজি বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার জানা গেল আগামী তিন মাসের মধ্যেই ৫০০টি অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলো স্থাপিত হবে। দায়িত্বে থাকবে ডিআরডিও। ইতিমধ্যেই ৩৮০টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম এবং ট্রাইডেন্ট ফার্মাকে প্রযুক্তি পাঠিয়েছে ডিআরডিও। বাকি ১২০টি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে বিভিন্ন সংস্থা। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে মিলে সেগুলি তৈরি করা হবে।
করোনা সংক্রমণের চিকিৎসায় প্রাথমিক উপাদান লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেনের জোগান বেড়েছে ৮৯২২ মেট্রিক টন। আশা করা হচ্ছে, চলতি মাসের শেষে তা ৯২৫০ মেট্রিক টনে পৌঁছাবে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটি উচ্চস্তরের বৈঠকে সরকারের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত বছর অগস্টে এই পরিমাণ ছিল ৫৭০০ মেট্রিক টন।
কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রামিতের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে অক্সিজেনের অভাবের খবর আসছিল। তার পর জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। এদিন এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে যত দ্রুত সম্ভব পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু করতে নির্দেশ দেন মোদী।
এই আবহে ভারতীয় রেলওয়ে অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালাচ্ছে, বিমান বাহিনীর মাধ্যমে বিদেশ থেকে এবং দেশের মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন ট্যাঙ্কার পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে।