আগামিকালই ভারতীয় নেভি-তে যোগ দেবে নতুন অ্যাটাক সাবমেরিন INS Karanj । তার আগে সোমবার রাতে টেস্ট-এর পর DRDO-র নতুন প্রযুক্তি পেল ছাড়পত্র। নয়া এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশান প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে ভারতীয় সাবমেরিনগুলি আরও নিঃশব্দে সমুদ্রে নজরদারি চালাতে পারবে।
এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশান, সংক্ষেপে AIP কী?
সাবমেরিন জলের তলায় বহুক্ষণ যাত্রা করতে পারলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর জলস্তরের উপরে ভেসে উঠতে হয়। এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশান প্রযুক্তির মাধ্যমে একটানা অনেক বেশি সময় ধরে জলের তলায় থাকতে পারবে সাবমেরিনগুলি। শুধু তাই নয়, এই প্রযুক্তির প্রয়োগে সাধারণ সাবমেরিনও হয়ে উঠবে নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের থেকেও কম শব্দ সৃষ্টিকারী। ফলে, অতর্কিতেই শত্রুপক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে নজরদারি, প্রয়োজনে অনুপ্রবেশ রোখার মতো কাজ করা যাবে।
আপাতত. ২০২৩ সালের মধ্যে কালভারি ক্লাসের সমস্ত নন-নিউক্লিয়ার সাবমেরিনে AIP প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে আপগ্রেড করতে চাইছে ভারতীয় নেভি।
প্রায় ১৬১৫ টনের কালাভারি ক্লাস সাবমেরিন মাজাগন ডকইয়ার্ডস লিমিটেড ও ফরাসি ন্যাভাল গ্রুপের যৌথ সমন্বয়ে তৈরী। এটির ডিজাইনের ভিত্তি হল স্করপিন ডিজাইন। এই ডিজাইনের ফলে এ ধরণের সাবমেরিন অনেকটা বুলেটের মতো সহজেই বাধা কাটিয়ে নিঃশব্দে এগিয়ে যেতে পারে।
তবে, এর আগেও সাবমেরিনে এ ধরণের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, চিন, ব্রিটেন, রাশিয়ার মতো দেশ। এবার সেই তালিকায় যোগ হল ভারতের নাম।
তাছাড়াও সম্পূর্ণ ভারতে ডেভেলপ করা এই প্রযুক্তি আত্মনির্ভর ভারতের উদ্যোগকেও আরও বেশ খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। সোমবার রাতেই এই প্রযুক্তির উপর বিভিন্ন ধরণের টেস্টিং সম্পূর্ণ করে DRDO।
নয়া প্রযুক্তি নিয়ে DRDO ও ভারতীয় নেভিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ভারতের AIP প্রযুক্তির প্রশংসা করেছে ফ্রান্সও। নয়া প্রযুক্তিতে ইন্দো-প্যাসিফিক ক্ষেত্রে ভারতের শক্তি আরও বৃদ্ধি পেল বলে মনে করা হচ্ছে।