পর্যাপ্ত জ্বালানি ছাড়াই মোটরসাইকেল চালানো। এর জন্যও চে চালান হতে পারে, তা কল্পনাতেও ভাবেননি এক মোটরসাইকেল আরোহী। কেরলের ওই যাত্রীর ট্রাফিক চালানের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ট্রাফিক চালানে ওই ব্যক্তির নাম বাসিল শ্যাম উল্লেখ করা হয়েছে। চালান রশিদ অনুসারে 'যাত্রীসহ অপর্যাপ্ত জ্বালানি নিয়ে গাড়ি চালানোর জন্য' তাঁকে ২৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শ্যাম ফেসবুকে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ নিয়ে ঘটনার দিন অফিস যাচ্ছিলেন। এমন সময়ে একজন পুলিশকর্মী তাঁকে একমুখী রাস্তায় বিপরীত দিকে গাড়ি চালানোয় থামান। এরপর তাঁকে ২৫০ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়। নিজের ভুল স্বীকার করে তিনি সেটা দিয়ে দেন।
তিনি বলেন, এরপর অনেক দেরি হয়ে যাওয়ায়, রশিদটি নিয়ে অফিসে চলে যান। অফিসে পৌঁছে তারপর রশিদটি দেখেন। আর সেটা দেখেই চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায় তাঁর। সেখানে লেখা, অপর্যাপ্ত তেল নিয়ে যাত্রীসহ গাড়ি চালানোর অভিযোগ।
শ্যাম এরপর কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা সকলেই জানান যে, ট্রাফিক আইনে এরকম কোনও অপরাধ নেই।
কয়েকদিন পরে, মোটরযান বিভাগের একজন আধিকারিক তাঁকে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চান। শ্যাম তাঁকে পুরো বিষয়টা ব্যখ্যা করেন। তার উত্তরে ওই আধিকারিক জানান, এমন একটি অপরাধের ধারা আছে বটে। তবে তা ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য।
কেরল পরিবহন আইন অনুসারে, জ্বালানি-সম্পর্কিত এমন অপরাধ বাণিজ্যিক যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যদি যাত্রীদের গন্তব্যে যাওয়ার আগেই কোনও যাত্রীবাহি যানের জ্বালানি ফুরিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে চালক বা গাড়ির মালিককে ২৫০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
সম্ভবত, তাড়াহুড়োয় ভুল কোনও চালান দিয়ে ফেলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মী! আর তার ফলেই এই বিপত্তি।