ফের জম্মু ও কাশ্মীরে ড্রোনের উপদ্রব। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তান থেকে ড্রোন উড়িয়ে এনে ভারতে নাশকতার ছক কষা হচ্ছে। একেক সময় বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন উড়ে আসে সীমান্ত পার করে, কখনও কখনও আবার মাদক দ্রব্য থাকে ড্রোনে। এর জেরে সীমান্তে নজরদারি আরও কড়া করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই আবহে আজ ভোরে সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের নজরে পড়ে একটি ড্রোন। ড্রোনটি যখন প্রায় ৩০০ মিটার উচ্চতায় ছিল সেই সময় সেটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। পরে বাধ্য হয়ে ড্রোনটি সীমান্তের ওপারে ফিরে যায়। তবে সীমান্ত পার করার আগে কোনও মাদক দ্রব্য বা অস্ত্র এটি ভারতে ফেলে দিয়ে গিয়েছে কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিএসএফ মুখপাত্র বলেন, ‘ভোর ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ আকাশে টিমটিম আলো দেখতে পান আন্তর্জাতিক সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরা। এরপর ৩০০ মিটার উচ্চতায় থাকা বস্তুটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় জওয়ানরা।’ এর আগে সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জম্মুর আখনুর সীমান্ত এলাকায় একটি ড্রোনের ফেলে যাওয়া তিনটি চৌম্বকীয় আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। এর আগে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এই পেলোড ড্রোনটিকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল। সোমবার বিএসএফের একজন সিনিয়র আধিকারিক পিটিআইকে বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সর্বত্র ড্রোনের হুমকি রয়েছে। তবে এই অঞ্চলে সীমান্তের ওপার থেকে যে কোনও ঘৃণ্য পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে নিরাপত্তা বাহিনী সজাগ রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা বাহিনী সাম্প্রতিক অতীতে জম্মু, কাঠুয়া এবং সাম্বা সেক্টরে বেশ কয়েকটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে। সেগুলি থেকে রাইফেল, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এবং স্টিকি বোমা সহ বিভিন্ন পেলোড বাজেয়াপ্ত করেছে। সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক ড্রোন কার্যকলাপ বৃদ্ধির নেপথ্যে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের নয়া ছক রয়েছে বলে আশঙ্কা। অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক চোরাচালানের জন্য একটি সহজ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রোন। আর তাই সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সেনা এবং বিএসএফ।