নিজেদের প্রার্থী আছে। তবে নিজেদের প্রার্থীর পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁকে সমর্থনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন দ্রৌপদী মুর্মু। সূত্র উদ্ধৃত করে জানাল সংবাদসংস্থা এএনআই। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের কাছেও গিয়েছে দ্রৌপদীর ফোন।
এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁকে সমর্থনের জন্য মমতাদের আর্জি জানিয়েছেন। যে মমতা এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী দাঁড় করানোর জন্য প্রথম থেকেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগে বৈঠকের পর যশবন্ত সিনহাকে বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। যিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
সেই পরিস্থিতিতে কেন মমতাদের সমর্থন চাইলেন দ্রৌপদী? রাজনৈতিক মহলের মতে, পুরোপুরি রাজনৈতিক চাল দিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করছেন দ্রৌপদী। সেইরকম একজন প্রার্থীকে সামনে রেখে আগামিদিনে বিভিন্ন রাজ্যেও প্রচার চালাবে বিজেপি। মমতা দ্রৌপদীকে যদি সমর্থন না করেন, সেই বিষয়টি আগ্রাসীভাবে নিজেদের প্রচার কর্মসূচিতে তুলে ধরবে। বিশেষত গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে বিজেপি যে ধাক্কা খেয়েছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
দ্রৌপদীর মনোনয়ন
শুক্রবার দ্রৌপদীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্বে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ বিজেপি প্রথমসারির সব নেতা। হাজির ছিলেন বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। নির্বাচনের আগেই কার্যত একপ্রস্থ বিজয় মিছিল সেরে ফেলেন দ্রৌপদীরা। তারপর বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ সংসদ ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারপর মোদী, শাহদের সঙ্গে হেঁটে বেরিয়ে যান দ্রৌপদী।