আজ সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা শপথবাক্য পাঠ করালেন দ্রৌপদী মুর্মুকে। এরই সঙ্গে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত প্রথম আদিবাসী মহিলা। পাশাপাশি স্বাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন দ্রৌপদী। তাছাড়া ভারতের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতিও হন তিনি।
এদিন সকাল ৯টা ২২ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানান। শেষবারের মতো রাষ্ট্রপতি হিসেবে গান স্যালুট গ্রহণ করেন রামনাথ কোবিন্দ। এরপর রামনাথ কোবিন্দ এবং দ্রৌপদী মুর্মু সকাল ১০টা ৩ মিনিট নাগাদ পৌঁছে যান সংসদে।
ওড়িশায় জন্ম নেওয়া দ্রৌপদী এর আগে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন। নিজের কর্মজীবন তিনি অবশ্য শুরু করেছিলেন সরকারি কর্মী হিসেবে। প্রথমে ওড়িশার রাজ্য সরকারের ক্লাস-৩ কর্মী পরে স্কুল শিক্ষিকা হয়েছিলেন তিনি। এরপর রাজনীতিতে প্রবেশ তাঁর। ওড়িশার রায়রাংপুরের কাউন্সিলর হন। পরে বিধায়ক হন তিনি। নবীন পট্টনায়েকের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলান তিনি। এরপর দীর্ঘ ছয়বছর ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল থাকেন তিনি।
গত ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতেন দ্রৌপদী মুর্মু। মোট বৈধ ভোটের প্রায় ৬৪ শতাংশ যায় তাঁর ঝুলিতে। তাঁকে বেশ কয়েকটি বিরোধী দলও সমর্থন করে। তাছাড়া প্রচুর ‘ক্রস ভোট’ পড়ে তাঁর পক্ষে। অন্তত ১৭ জন সাংসদ ও বিভিন্ রাজ্যের শতাধিক বিধায়ক দলের নির্দেশ অমান্য করে দ্রৌপদীকে ভোট দেন।