মাদক পাচারের পদ্ধতি ক্রমেই বদলে যাচ্ছে। তবে এবার কলকাতা বিমানবন্দরে ব্রাজিলের এক তরুণকে আটক করার পরে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরাও কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছেন। মাদক পাচারের এই ধরনের পদ্ধতি সাধারণত বিদেশি সিনেমাতে দেখা যায়। সেটাই দেখা গেল এবার কলকাতা বিমানবন্দরে।
সূত্রের খবর, গত ১২ অগস্ট দুবাই থেকে আসা একটি বিমান থেকে ব্রাজিলের এক তরুণ ও তরুণী নামেন। কিন্তু তাদের কাছে মাদক থাকতে পারে বলে এনসিবির কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল। সেই মতো তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু ব্যাগ, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও কিছু মেলেনি। তবুও হাল ছাড়েননি এনসিবির গোয়েন্দারা।
দুদিন ধরে তাদের নজরে রাখতে শুরু করেন গোয়েন্দারা। এরপর কিছুটা অস্বাভাবিকত্ব টের পাওয়া যায় ওই তরুণের মধ্য়ে। সোমবার বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মলদ্বারের ডিজিটাল এক্সরে করানো হয়। আর তাতেই অবাক করা ছবি।
মলদ্বারের মধ্যে পকেট বা গোপন কুঠুরি তৈরি করে সেখানেই মাদক ভরে রাখা হয়েছে। প্রায় এক কোটি টাকার কোকেন সেখানে লুকানো ছিল বলে অভিযোগ। এরপর বিশেষ পদ্ধতিতে মলত্যাগ করানোর পরে ওই কোকেন পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ওই যুবককে এসএসকেএমেও ভর্তি করতে হয়।
তবে ব্রাজিলের ওই তরুণীর শরীরেও কোথাও মাদক লুকানো থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেকারণে তাঁকেও আপাতত নজরদারিতে রাখা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে দুজনেই আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কলকাতায় কার কাছে এই কোটি টাকার মাদক পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল সেটাই জানার চেষ্টা করছে এনসিবি। আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সেটাও দেখা হচ্ছে।