গুজরাটে মদ্যপ আইনের ছাত্রের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বরোদার কারেলিবাগ এলাকায়। আর গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত পড়ুয়া ও তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত রক্ষিত রবীশ চৌরাসিয়া এমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র। তিনি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিবেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় গাড়িতে ছিলেন তাঁর বন্ধু মিত চৌহান। আচমকা তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপরেই ওই ছাত্রের গাড়ি বেশ কয়েকটি বাইক-স্কুটারে ধাক্কা মারে। যার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। একই সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতরা বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অন্যদিকে, ওই পড়ুয়ার গাড়ির সামনের অংশও সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয়রাই প্রথমে ওই পড়ুয়াকে আটক করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে দ্রুতগতিতে এসে গাড়িটি আম্রপালি কমপ্লেক্সের কাছে টার্ন নেয়, যার ফলে পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে পালিয়ে যান, কিন্তু বাকিদের ধাক্কায় দেয় গাড়িটি।
তারপরে উত্তেজিত জনতা ওই পড়ুয়াকে ঘিরে ধরেন। অভিযোগ, সেই সময় অদ্ভুত আচরণ করতে দেখা যায় ওই পড়ুয়াকে। ‘আবার হয়ে যাক’ বলে একটি মেয়ের নাম চিৎকার করতে থাকেন তিনি, তারপর হঠাৎ 'ওম নমঃ শিবায়' আওড়াতে থাকেন। সিসিটিভি ফুটেজেও তা ধরা পড়েছে। এমনকী প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই ছাত্রকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ওই ছাত্র এবং তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।জয়েন্ট সিপি লীনা পাতিল বলেন, 'একটি গাড়ির সঙ্গে স্কুটারের সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ আরও তদন্ত করছে।এটি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ঘটনা।