বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > মাঝ আকাশে বিমানের এমার্জেন্সি দরজা খোলার চেষ্টা, সাতসকালে মাতাল যাত্রীর কাণ্ড!

মাঝ আকাশে বিমানের এমার্জেন্সি দরজা খোলার চেষ্টা, সাতসকালে মাতাল যাত্রীর কাণ্ড!

ইন্ডিগোর বিমানে ছিলেন যাত্রী। Photographer: T. Narayan/Bloomberg (Bloomberg) (HT_PRINT)

১০টা ৪৩ মিনিটে বিমানটি বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তারপর তাকে সিআইএসেফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর বিমানবন্দরের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ব্রেথ অ্যানালাইজার মেশিনের মাধ্যমে তার পরীক্ষা করা হয়। তখন বোঝা যায় তিনি মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন।

৪০ বছর বয়সী এক মদ্যপ যাত্রীর বিরুদ্ধে পরপর তিনটি কড়া অভিযোগ উঠেছে। তিনি একেবারে চলন্ত বিমানের আপৎকালীন দরজার ফ্ল্যাপ জোর করে খোলার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। ইন্ডিগো ফ্লাইটের ঘটনা। তবে বিমান সংস্থা জানিয়েছে এই ঘটনায় যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও সমস্য়া হয়নি।

ফ্লাইট 6E 308। সকাল ৭.৫৬ মিনিটে এটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল। এদিকে এর আগে ২০২২ সালে ১০ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরু সাউথের এমপি তেজস্বী সূর্য টেক অফের আগেই বিমানের দরজা দুর্ঘটনাক্রমে খুলে ফেলেছিলেন। এর জেরে বিমানটি প্রায় ১০ ঘণ্টা দেরি হয়ে গিয়েছিল।

তবে এবারের ঘটনা আরও গুরুতর। সূ্ত্রের খবর, বিমানযাত্রী আর প্রতীক ১৮ এফ সিটে বসেছিলেন। তিনি কার্যত মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করছিলেন। এরপরই তিনি অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা শুরু করেন। ওই দরজাটি তাঁর কাছেই ছিল।

১০টা ৪৩ মিনিটে বিমানটি বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তারপর তাকে সিআইএসেফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর বিমানবন্দরের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ব্রেথ অ্যানালাইজার মেশিনের মাধ্যমে তার পরীক্ষা করা হয়। তখন বোঝা যায় তিনি মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন।

তার বাড়ি কানপুরে। তিনি একটি ই কমার্স ফার্মের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসাবে কাজ করেন। এয়ারপোর্ট পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে।

ইন্ডিগো ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। বিমান সংস্থা জানিয়েছে, দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুগামী বিমানে ছিলেন ওই যাত্রী। তিনি অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় এমার্জেন্সি দরজার ফ্ল্যাপ খোলার চেষ্টা করছিলেন।বিষয়টি জেনেই ক্রু মেম্বাররা ক্য়াপ্টেনকে জানান। এরপর যাত্রীকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু এতে যাত্রী সুরক্ষায় কোনও সমস্যা হয়নি। বেঙ্গলুরুতে যাওয়ার পরে তাকে সিআইএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এমার্জেন্সি ডোরের ফ্ল্যাপ খুলে দেওয়া হলে সেটা বিমানের সুরক্ষায় কোনও প্রভাব ফেলে না। কারণ বিমান চালু অবস্থায় সমস্ত দরজা প্রেসার লকড করা থাকে। মাঝ আকাশে বিমানের কোনও দরজা খুলে যাবে এটা কোনওদিন হতে পারে না। ল্যান্ডিং না করা পর্যন্ত এমার্জেন্সি ডোরও খোলা সম্ভব নয়।

 

বন্ধ করুন