দেশে জোর কদমে চলছে করোনা টিকাকরণ। এই আবহে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, যাঁরা নিজের থেকে টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতে অক্ষম, তেমন মানুষকে বাড়িতে গিয়েই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে কেন্দ্রের তরফে শর্ত সাপেক্ষে দুয়ারে ভ্যাকসিনের কথা বলা হলেও তা নিয়ে বিশেষ উত্সাহ নেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের।
এই আবহে কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল বলেন, 'যাঁরা টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতে পারবেন না, তাঁদের আমরা বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। যাঁরা শারীরিকভাবে অক্ষম, তাঁদের জন্য এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।' এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, 'শয্যাশায়ী মানুষদের তালিকা তৈরি করতে হবে জেলা স্তরে। তাঁরা টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতে অক্ষম। সেই তালিকা অনুযায়ী তাঁদের বাড়িতে গিয়ে টিকা দিয়ে আসা হবে।'
এদিকে এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, এখনই দুয়ারে টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা তিনি দেখতে পারছেন না। তিনি আরও জানান, এখন তাঁদের প্রধান লক্ষ্য শহর এবং মফস্বল শহরগুলিতে টিকার দু’টি ডোজ সম্পূর্ণ করা। পাশাপাশি দুয়ারে টিকা নিয়ে অনীহার নেপথ্যে দেবাঞঅজন কাণ্ড থেকে থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ এর আগে কলকা পুরনিগম বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বাড়িতে টিকাকরণের ভাবনা চিন্তা করলেও পরে স্বাস্থ্য ভবনের জন্য তা বতিল করে দেয়।
এদিকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই অন্তত একটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। আর ভারতের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ করোনা টিকার দু'টি ডোজই পেয়েছেন। তবে টিককারণের সমস্যা রয়ে গিয়েছে এখনও। টিকাকরণ কেন্দ্রে এখনও লম্বা লাইন, বিশৃঙ্খলা নজর পড়ে নিয়মিত। এর জেরে টিকা নিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।