বিদেশ থেকে অনেকেই ডাক্তারি পড়ে আসেন। কিন্তু এদেশে আসার পরে তাঁরা সহজেই ডাক্তারি করতে পারেন এমনটা নয়। তাঁদের একাধিক ধাপ পেরিয়ে আসতে হয়। তবে এবার ন্যাশানাল মেডিকেল কমিশন এবার তাদের সাম্প্রতিকতম নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ভারতে এমবিবিএসের সমতূল্য পাঠক্রম যারা অন্য় জায়গা থেকে পড়েছেন তারা এক বছরের জন্য বাধ্য়তামূলক ইন্টার্নশিপ করলেই হবে, সেটা সিআরএমআই রেগুলেশন ২০২১ মোতাবেক হতে হবে। নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে আর যে শর্তগুলি রয়েছে সেগুলি একই রকম থাকবে। অন্যান্য দেশ থেকে যারা ডাক্তারি পড়ে এসেছেন তাদের জন্য এই নিয়ম লাগু করা হবে।
FMGE 2024 অর্থাৎ ফরেন মেডিক্য়াল গ্র্যাজুয়েট এক্সামিনেশন মূলত ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েটদের জন্য করা হয়। যারা বিদেশের কোনও মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁদের এমবিবিএস ডিগ্রি পেয়েছেন তাদের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা।
এদিকে এর আগে এনএমসির অর্ডারে ছিল যে যে সমস্ত পড়ুয়া বিদেশ থেকে মেডিক্যাল ডিগ্রি পড়ে এসেছেন, কোর্স শেষ করার জন্য কোনও একটা মেয়াদের জন্য তারা অনলাইনে ক্লাস করেছিলেন তাদেরকে এফএমজি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এরপর তাদের দু-তিন বছরের জন্য় ইন্টার্নশিপ করতে হবে।
এদিকে দু তিন বছরের জন্য় এই ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থায় আপত্তি তুলেছিলেন বিদেশ থেকে পড়ে আসা মেডিক্যাল পড়ুয়াদের একাংশ। এরপরই এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করল এনএমসি। এবার এক বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ করলেই হবে। সেই বাধ্য়তামূলক দু-তিন বছর ধরে ইন্টার্নশিপ করতে হবে এমনটা নয়।
এদিকে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, দেশে ডাক্তারি করার লাইসেন্স পেতে হলে ইন্টার্নশিপ করা অত্যাবশ্যক। এদিকে অনেক পড়ুয়া চিন থেকে দেশে ফিরে বেশ কয়েকটি সেমিস্টার অনলাইনে পড়াশোনা করেছেন। এই আবহে জটিলতার মধ্যে পড়েছিলেন সেই পডুয়ারা। এই আবহে গত ৯ ডিসেম্বর, সরকারকে একটি কমিটি গঠন করে এইসব পড়ুয়াদের নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে বলা হয়। উল্লেখ্য, কোভিড অতিমারির শুরু থেকেই বাইরের জগতের থেকে নিজেদের ছিন্ন করে দিয়েছিল চিন। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সেদেশে লকডাউন চলছে। এই আবহে চিনা মেডিক্যাল কলেজে ভরতি হওয়া ভারতীয় পড়ুয়ারা সেদেশে ফিরতে পারেনি। এই আবহে তাদের অনলাইনে পড়াশোনা শেষ করতে হয়েছে। তবে ভারত সরকার জানিয়ে দিয়েছিল যে অনলাইনে মেডিক্যাল পড়াশোনার কোনও দাম নেই দেশে। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েন চিন ফেরত পড়ুয়ারা। এই আবহে এর আগে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম বেঞ্চ ২০১৫-২০ ব্যাচের চিন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দেশেই ট্রেনিং করার অনুমতি দিয়েছিল।