দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন যাত্রার সময় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে। হিংসার সময় গুলিতে এক ২২ বছর বয়সি যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মাতৃ প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় ভাসান যাত্রায় যে গান চালানো হচ্ছিল, তা ঘিরেই হিংসার সূত্রপাত ঘটেছিল। আর এর জেরেই রক্ত ঝরে বিসর্জনের সময়। এদিকে এই হিংসার জেরে আরও প্রায় ৬ জন জখম হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। অনেকেই পাথরের আঘাতে জখম হয়েছেন বলে খবর। এদিকে এই ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: কথা কাটাকাটি থেকে গালাগালি, এরপর রামকৃষ্ণ মঠের সন্ন্যাসীকে মারধর BJP সাংসদের!)
আরও পড়ুন: 'সবকটি পাঁড় মাতাল একসাথে আমরণ অনশন করছে', ডাক্তারদের নিয়ে বিস্ফোরক TMC নেতা
এই হিংসার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদিত্যনাথ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দোষীদের কোনও ভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না। হিংসা ছড়ানোর নেপথ্যে যাদের হাত আছে তাদের সকলকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যোগী। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। (আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভরতি জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য এখন কেমন আছেন? জানালেন NRS-এর চিকিৎসক)
আরও পড়ুন: DA মামলার ১৪তম শুনানিতে… বড় দাবি রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই হিংসার ঘটনাটি ঘটেছে বাহরাইচের মনসুর গ্রামের মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। মৃত যুকের নাম রাম গোপাল মিশ্র। ভাসান শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল সেই রাম গোপাল। বিসর্জনেন মিছিল যখন বাজার এলাকা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন রাম গোপালকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ অবস্থয় রাম গোপালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে রাম গোপালের। এর পর উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে। এর জেরে জখম হন বেশ কয়েকজন।
এই খুনের ঘটনা সামে আসতেই আশেপাশের এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আশেপাশের ফকরপুর টাউন এবং বাকি গ্রামে বিসর্জন শোভাযাত্রা বাতিল করা হয়। পরে যোগী আদিত্যনাথ স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন যাতে বিসর্জনের শোভাযাত্রা জারি থাকে। পুলিশকে নজরদারি বাড়াতে বলেন তিনি। এদিকে বাহাইচের ঘটনার জেরে হারদি পুলিশ থানার ইনচার্জ এসকে ভর্মা এবং মশি ফাঁড়ির প্রধান শিব কুমারকে সাসপেন্ড করে সরকার। অভিযোগ, হিংসার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। এই আবহে এসপি স্বয়ং বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।