পুজোর সপ্তাহদুয়েকও বাকি নেই। তার আগে শর্তসাপেক্ষে দিল্লিতে দুর্গাপুজো আয়োজনের অনুমতি দিল সরকার। একইসঙ্গে রামলীলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সেজন্য নির্দিষ্ট কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে বলে জানিয়েছে দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ)।
রাজধানীতে দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। করোনা পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে পুজো ও রামলীলার অনুমতি দিতে চায়নি দিল্লি সরকার। তবে রবিবার ডিডিএমএয়ের তরফে বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, কঠোরভাবে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে দুর্গাপুজো আয়োজন করা যাবে। বড় জমায়েত এড়িয়ে গিয়ে পুজো মণ্ডপে এবং রামলীলা উদযাপনে কমসংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে একেবারে রাশ আলগা করার পথে হাঁটেনি অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। বরং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীতে যাবতীয় মেলা খাবার স্টল, প্রদর্শনী, মিছিল এবং শোভাযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।
নির্দেশিকায় দিল্লির মুখ্যসচিব এবং ডিডিএমএয়ের রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান বিজয় দেব জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের কাছ থেকে অনুষ্ঠানের অনুমতি নিতে হবে উদ্যোক্তাদের। আইন মোতাবেক যাবতীয় ছাড়পত্র পাওয়ার পর দুর্গাপুজো ও রামলীলা আয়োজন করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সরকারের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কোনও সুরক্ষা বিধি ভঙ্গ করা হলেই অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
যদিও শেষ মুহূর্তে সরকারের সেই সিদ্ধান্তে খুশি নন উদ্যোক্তরা। তাঁদের বক্তব্য, সরকার এত দেরিতে ছাড়পত্র দিয়েছে যে এবারের অনেক অনুষ্ঠানই ইতিমধ্যে বাতিল হযে গিয়েছে। যে কয়েকটি দুর্গাপুজো বা রামলীলার অনুষ্ঠান হবে, তাও কোনওক্রমে হবে।
একনজরে সরকারের নির্দেশিকা
১) সংশ্লিষ্ট এলাকা এবং সামাজিক দূরত্বের ভিত্তিতে অনুষ্ঠানে কতজন থাকতে পারবেন, তা নির্ধারণ করা হবে। হলের যা ধারণ ক্ষমতা, তার ৫০ শতাংশ ভরতি করা যাবে। সর্বাধিক ২০০ জন থাকতে পারবেন। খোলা জায়গায় সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে।
২) কর্মীরা-সহ মাস্ক ছাড়া কেউ অনুষ্ঠানের জায়গায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
৩) অনুষ্ঠানের জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে চেয়ারে বসে থাকতে পারবেন দর্শকরা। কেউ দাঁড়িয়ে বা মাটিতে বসে থাকতে পারবেন না।
৪) শুধুমাত্র কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে অনুষ্ঠান হতে পারবে।
৫) প্রতিটি অনুষ্ঠানে যাবতীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত বন্দোবস্ত করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে রোগী দেখার জন্য নিকটতম হাসপাতালের সঙ্গে আগে থেকে যোগাযোগ করে রাখতে হবে।