মূর্তিপুজো খ্রিস্টান ধর্মবিরোধী। তাই এটি নীতিগতভাবে ঠিক নয়। এমনটাই জানানো হয়েছিল পাপুয়া নিউ গিনির প্রশাসনের চিঠিতে। প্রত্যাখান করা হয় দুর্গাপুজো করার অনুমতি। বিতর্ক শুরু হতেই অবশ্য চিঠি দিয়ে ক্ষমা চাইলেন পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিং। তিনি করোনা মহামারীর নিয়ন্ত্রক হিসেবেও কাজ করেন।
প্রবাসী বাঙালি পুষ্পেন্দু মাইতি পোর্ট মোরেসবি দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতি। পুজো কমিটির তরফে অনুমতি চেয়ে তিনি প্রশাসনের কাছে চিঠি দেন। তারই উত্তরে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয় ন্যাশানল কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের অফিস থেকে।
'অস্ট্রেলিয়ান' সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক বেন প্যাকহাম সেই চিঠি টুইটারে শেয়ার করেন। চিঠিতে দেখা যাচ্ছে বোল্ড অক্ষরে লেখা, 'অনুমতি দেওয়া হল না।' সেখানে কারণ হিসাবে বলা হয়, 'দুর্গাপুজো একটি মূর্তিপুজো। সেটা আমাদের খ্রিস্টান মতধারার বিরোধী।' সই আছে পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিংয়েরও।
এরপরেই বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। উগ্র ধর্মান্ধতার অভিযোগও তোলেন কেউ কেউ। তবে এরই মধ্যে বিষয়টি কানে যায় খোদ পুলিশ কমিশনারের। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে আরও একটি চিঠি দেন।
তাতে তিনি বলেন, 'আগের চিঠিটির জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।' মূর্তিপুজো, ধর্মবিরোধী ইত্যাদি শব্দের জন্য ক্ষমা চান তিনি। ডেভিড ম্যানিং বলেন, 'এটি আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত চিন্তাধারা নয়।' তিনি জানান, তাঁর অনুমোদন অস্বীকারের কারণ ছিল করোনা পরিস্থিতি। উত্সবের কারণে অনেকে এক স্থানে জড়ো হলে সংক্রমণের আশঙ্কায় তিনি অনুমতি দিতে চাননি।
পুলিশ কমিশনার জানান, এই চিঠির ড্রাফট তিনি করেননি। সেটা ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে হয়েছে। চিঠির বক্তব্যের সঙ্গে তিনি সহমত নন। তাঁর বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সভাপতি পুষ্পেন্দু মাইতিকে আরও একবার চিঠি দিতে অনুরোধ করেন তিনি। তাতে আয়োজনের সময়কাল, বিবরণ, কতজন জড়ো হতে পারেন ইত্যাদি তথ্যাদি বিশদে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। কোভিড প্রোটোকলের শর্তপূরণ হলে অবশ্যই অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
নার।