করোনা অতিমারির পর্বে গত দু'বছর ধরে সেভাবে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে এবার করোনা বিধি থাকছে না। ফলে সর্বত্রই দুর্গাপুজোর জন্য ব্যস্ততা তুঙ্গে। সেই ব্যস্ততা শুধুমাত্র বাংলাতেই নয়, বাংলা ছাড়িয়ে সুদূর পাশ্চাত্যে প্রবাসীদের মধ্যেও এখন ব্যস্ততা অনেক। আমেরিকার অ্যারিজোনার ফিনিক্স শহরে প্রতিবছর জাকজমক করে দুর্গাপুজো পালিত হয়। গত দু'বছর করোনার জন্য সেরকমভাবে দুর্গাপুজোর ব্যস্ততা ছিল সেখানকার প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে। তবে এবার দুর্গাপুজোকে ঘিরে অ্যারিজোনার প্রবাসী বাঙালিরা এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুজোর কয়েকটা দিন বাড়ির মহিলাদের ‘ছুটি’, সিংহ পরিবারের পুরুষরাই সামলান সব কাজ
এই শহরে দুটি বড় এবং পুরনো দুর্গাপুজো হয়। যার মধ্যে সবথেকে পুরনো দুর্গাপুজো হল বেঙ্গলি কালচার অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যারিজোনা আয়োজিত দুর্গাপুজো। এই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে গত ৩৫ বছর ধরে। প্রতিবারই নতুন রূপে দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন সেখানকার প্রবাসী বাঙালিরা। তাদের আয়োজিত দুর্গাপুজো দেখতে আশেপাশে থেকে বহু মানুষের ভিড় জমে।
সাধারণত অ্যারিজোনায় তিনদিন ধরে দুর্গোৎসব চলে। এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে দুর্গোৎসব। দুর্গাপুজোয় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। যেখানে থাকবে বিদেশি এবং দেশি খাবারের বিভিন্ন স্টল। চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে বিদেশি শিল্পীদের পাশাপাশি থাকবেন দেশীয় শিল্পীরা। শুক্রবার বোধন দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপুজো। শনিবার হবে পুজো, প্রসাদ বিতরণ, দুপুরে ভোগ খাওয়ানো এবং শিল্পীদের গান এবং সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। আর রবিবার পুজোর শেষ দিন থাকবে মায়ের আরতি, খাওয়া দাওয়া, ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলা প্রভৃতি। এবারে অ্যারিজোনার দুর্গাপুজোয় গান শোনাতে কলকাতা থেকে যাবেন বাঙালি সংগীত শিল্পী সোমলতা আচার্য চৌধুরী। এক কথায় বিদেশের মাটিতেও একেবারে দেশীয় মেজাজে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজো।