মায়ানমারে যাতে দ্রুত গণতন্ত্র ফেরে ও অস্থির অবস্থা কেটে যায় এই বার্তা নিয়ে সেদেশের সফরে গিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিংলা। এদিন মায়ানমারের সেনার উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সেদেশের পরিস্থিতির প্রসঙ্গ যেমন তোলেন ভারতের বিদেশ সচিব, তেমনই আলোচনায় উঠে আসে মনিপুরে অসম রাইফেলসের কনভয়ে হামলার ঘটনা। কথা প্রসঙ্গে ভারতের উত্তর পূর্ব অংশে নিরাপত্তার প্রসঙ্গটিও আলোচিত হয়।
প্রসঙ্গত , মায়ানমারে দুই দিনের সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব। সেদেশের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও সাক্ষআৎ করেন হর্ষ শ্রিংলা। ভারতের বিদেশ সচিবের সঙ্গে সেদেশের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের প্রতিটি বৈঠকেই হিংসা রোধ করে গণতন্ত্র ফেরানো নিয়ে নানান আলোচনা হয়। এদিকে, মায়ানমার সীমান্তে থাকা উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির নিরাপত্তার বিষয়টিও এদিনের বৈঠকে আলোচিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর মনিপুরের চপরাচন্দপুরে অসম রাইফেলসের একটি কনভয়ে হামলা হয়। ঘটনায় কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি ও তাঁর পরিবার নিহত হয়। সেই ঘটনার পর থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি উদ্বেগে রাখে কেন্দ্রকে। মূলত, সীমান্ত লাগোয়া উগ্রবাদী গোষ্ঠীর গতিবিধি ওই হামলার পর থেকে আরও ভাবাতে শুরু করে দিল্লিকে। সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বিদেশ সচিবে এই সফর যে কূটনৈতিক দিক থেকে গুরুত্ব পূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। কারণ এই সফরে বিভিন্ন বৈঠকে মায়ানমারে গণতন্ত্র রক্ষায় ভারত কতটা সচেষ্ট তার বার্তা দিয়েছে দিল্লি।
এদিন শ্রিংলার প্রতিনিধিত্বে ভারত জানিয়েছে, আসিয়ান ভূক্ত দেশগুলির উদ্যোগে মায়ানমারে শান্তি ও গণতন্ত্র ফেরানোর যে উদ্যোগ রয়েছে, তাতে সামিল দিল্লিও। মায়ানমারে শান্তি ফেরার বিষয়ে ভারত আশাবাদী বলেও জানানো হয়েছে। মায়ানমারে গণতান্ত্রিক রাজপাট পরিবর্তনে ভারত যে সর্বোতভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত তাও এদিন হর্ষ শ্রিংলার মাধ্যমে নেইপেইডওকে জানান দিয়েছে দিল্লি।