চলছিল নিট ইউজি নিট ইউজির মামলার শুনানি। এমন সময়ই ভরা কোর্টে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন এক আইনজীবী। সিনিয়র আইনজীবী ম্যাথিউস নেমদুমপারার সঙ্গে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এই সংঘাতের গোটা পর্ব ভিডিয়োয় ধরা পড়ে। মঙ্গলবার ভরা কোর্টে দেশের শীর্ষ আদালতের ভিতর দুই ব্যক্তিত্বের এই কথা কাটাকাটির মাঝে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে বলতে শোনা যায়, ‘সিকিউরিটিকে ডাকুন… ।'
'বার অ্যান্ড বেঞ্চ' এর খবর অনুযায়ী, নিট ইউজি কাণ্ডে এক পিটিশনারের পক্ষে সওয়াল জবাব করছিলেন আইনজীবী নেদুমপারা। তিনি অপরপক্ষের আইনজীবী নরেন্দ্র হুদার সওয়াল জবাবের সময় বারবার মাঝখান থেকে কথা বলছিলেন। এতে বিরক্ত হতে থাকেন প্রধান বিচারপতি। হুদার বক্তব্যের মাঝে হঠাৎই বলেন, ‘আমার একটা কথা বলার আছে..।’ এটি শুনেই প্রধান বিচারপতি বলেন, হুদা বলার পর যেন নেদুমপারা বলেন। এরপরই কথা চলাকালীন বলতে থাকেন যে, ‘আমি বলতে পারি, কারণ আমি অ্যামিকাস।’ উল্লেখ্য, তিনি প্রধান বিচারপতিকে মনে করিয়ে দেন যে, তিনি সেখানে সিনিয়র আইনজীবী। পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি কোনও অ্যামিকাস নিয়োগ করিনি।’ পাল্টা ওই আইনজীবী বলেন,'আপনি যদি আমাকে সম্মান না করেন, তাহলে আমি ছেড়ে চলে যাব।' এরপর প্রধানবিচারপতি বলেন, ‘মিস্টার নেদুুমপারা, আমি আপনাকে সতর্ক করছি। আপনি গ্যালারিকে অ্যাড্রেস করতে পারবেন না। … ’ এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘দরা করে সিকিউরিটিকে ডাকুন… এঁকে কোর্টের বাইরে নিয়ে যেতে বলুন।’
এরপরই পরিস্থিতি বেশ গুরুতর হয়ে ওঠে। তখনই প্রধান বিচারপতিকে জবাব দিয়ে আইনজীবী বলেন, ‘আমি যাচ্ছি.. আমি চলে যাচ্ছি।’ পাল্টা প্রধান বিচারপতি ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘আপনাকে সেটা জানাতে হবে না। আপনি আসতে পারেন। আমি বিচার ব্যবস্থা গত ২৪ বছর ধরে দেখছি। আমি আইনজীবীদের দাপট দেখানোর অনুমতি দিতে পারি না।’ পাল্টা নেদুমপারা বলেন,'আমিও দেখছি ১৯৭৯ সাল থেকে..।' কথা কাটাকাটি চলতে থাকলে, প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘একদম চেঁচিয়ে কথা বলবেন না। এটা হাইড পার্কের কোণের মিটিং নয়। এটা কোর্ট। আপনি যদি আবেদন করতে চান, তাহলে তা ফাইল করুন।’ ‘জাগরণ’ পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ঘটনার শেষে প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে আইনজীবী বলেন, ‘ আমি দুঃখিত আমি, কোনও অন্যায় করিনি। আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে তিনি পবিত্র বাইবেল উদ্ধৃত করে বলেন, ‘ হে প্রভু ওঁদের ক্ষমা করে দাও ওঁরা জানে না ওঁরা কী করছে।’