উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ক্রমেই চড়ছে ভোট পারদ। শুক্রবার গোরক্ষপুর ও অযোধ্যায় পর পর সভায় যোগ দিয়ে একাধিক কর্মসূচির মাঝে বিরোধীদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি যোগী আদিত্যনাথ। ৩ হাজার পড়ুয়াকে স্মার্ট বিলি ঘিরে এক কর্মসূচিতে শুক্রবার যোগ দেন বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুক্রবার নিজের বার্তায় বারবার তিনি রামমন্দির ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসক বিঁধতে ছাড়েননি।
অযোধ্যায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ' মুখে হাসি রাখুন.. যে আপনি অযোধ্যায় রয়েছেন।' তিনি বলেন, অযোধ্যাকে বিশ্বমানের সুবিধা দেওয়া হবে। শুক্রবার তিনি অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির শিলান্যাসও করেন। এই সময়ই তিনি বলেন, 'এখন বিরোধীরাও অযোধ্যা সফরের কথা বলছেন।' বিরোধীদের বিঁধে তিনি বলেন, ' আগের সরকারগুলির আমলে বারবার দাঙ্গার ঘটনা ঘটত (উত্তরপ্রদেশে)। এখন পাঁচ বছর পরও কোনও দাঙ্গা নেই।' এই রেশ ধরেই তিনি বলেন, 'অনেকেই এখন শ্রীকৃষ্ণকে স্বপ্নে দেখতে পান। ঈশ্বর হয়তো তাঁদের অভিশাপ দিয়েছিলেন, যখন তাঁরা সরকারে ছিলেন আর মথুরা নিয়ে প্রথম দাঙ্গা শুরু হয়। তার কিছুদিন পরে জওহর বাগের ঘটনা ঘটে।' একই সঙ্গে তিনি সমাজবাদী পার্টিকে কটাক্ষ করে বলেন, 'একটা সময় তাঁরা রামের নাম নেওয়া এড়িয়ে যেতেন, এখন তাঁরা বাধ্য হয়েছেন শ্রীরামের নাম নিতে।'
এই অনুষ্ঠানে সমাজবাদী পার্টিকে তোপ দাগার পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ কংগ্রেসকেও একহাত নিতে ছাড়েননি। এক্ষেত্রে রাজস্থানের কংগ্রেস শাসিত সরকারের প্রসঙ্গ তুলে হাত শিবিরকে তোপ দাগেন তিনি। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাজস্থানের কোটা থেকে উত্তরপ্রদেশের ১৫ হাজার পড়ুয়াকে ফিরিয়ে আনার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে , আদিত্যনাথ বলেন, সেই সময় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার এই কাজে বাঁধা দিয়েছে। তবে তা উপেক্ষা করেও উত্তরপ্রদেশ সরকার এঁদের ফিরিয়ে আনে। উল্লেখ্য, উন্নয়নের মর্মে তিনি কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তোপ দাগতে ছাড়েননি। শুক্রবার অযোধ্যায় পা রেখে যোগী আদিত্যনাথ ৪৯.১৭ লাখ ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করেন যোগী আদিত্যনাথ। এছাড়াও শুক্রবার গোরক্ষপুরে ৬২ কোটি টাকার ২০ টি পর পর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর সরকার যে উত্তরপ্রদেশের বুকে কর্মসংস্থানে ব্রতী, তার বার্তা শুক্রবারের মঞ্চ থেকে দেন যোগী আদিত্যনাথ।