আইনের পেশায় কেন কম রয়েছে মহিলাদের সংখ্যা? এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, মহিলাদের সম্পর্কে কিছু নেতিবাচক ধ্যানধারণা এই পেশায় মহিলাদের সংখ্যার কমতির কারণ। তামিলনাড়ুতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আইনের পেশায় মহিলাদের কম সংখ্যা নিয়ে পরিসংখ্যানও পেশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, তামিলনাড়ুতে ৫০ হাজার পুুরুষ আইনজীবী রয়েছেন, সেখানে এই পেশায় মহিলাদের সংখ্যা ৫ হাজার।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনের পেশায় মহিলা ও পুরুষদের মধ্যে সংখ্যার ফারাক সারা দেশেই এমনই তুলনামূলক অনুপাতে রয়েছে। তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে জেলা আদালতে পরিসর বাড়ানো ও মাইলাদুথুরাইতে ডিস্ট্রিক্ট ও সেশন কোর্ট ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের উদ্বোধনে যোগ দেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, কিছু পুরনো ধ্যানধারণার জেরে চেম্বারগুলিতে (আইনজ্ঞদের) মহিলাদেল সংখ্যা কম রয়েছে। তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন, অনেকক্ষণ ধরে মহিলারা কাজ করতে পারবেন না কারণ তাঁদের পরিবারের কাজ রয়েছে।
এরপরই দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন,'আমাদের বুঝতে হবে সন্তানের জন্ম দেওয়া বা সন্তানের যত্ন নেওয়া পছন্দ অপছন্দের বিষয় এবং সেই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য একজন মহিলাকে শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। একজন যুবক পুরুষ আইনজীবীও বেছে নিতে পারেন, সন্তানের লালনপালন বা পরিবারের যত্নকে। তবে সামাজিক দিক থেকে আমরা তা চাপিয়ে দিই মহিলার উপর। আর সেটিকে ব্যবহার করি আমরা যাতে তাঁরা (মহিলারা) সুযোগগুলি হারান। যদি মহিলারা কেরিয়ার ও পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য রাখেন, তাহলে এটা আমাদের দায়িত্ব তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা করা।' ( কেজরিওয়ালের আপ-এর জাতীয় পার্টির তকমা কি থাকবে? পর্যালোচনায় কমিশন)
(ভারত ও পাক বংশোদ্ভূতরা এবার ব্রিটেনের 'পার্টিশান' নিয়ে বিবাদে? খবরে ঋষি-হামজা)
(ধুর ছাই নয়! রান্নাঘরের এই মশলাতে রয়েছে ভুঁড়ির মেদ কমানোর চাবিকাঠি, উপকার বহু )
প্রধান বিচারপতি আরও একটি দিক এই ইস্যুতে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শ্লীলতাহানি সম্পর্কিত অভিযোগ ঘিরে, অনেকেই মনে করেন অফিসে মহিলা আইনজীবীর থেকে বেশি নিরাপদ পুুরুষ আইনজীবীদের অবস্থান। তবে দেশের চেনা এই ছবি আস্তে আস্তে পাল্টাচ্ছে বলে জানান প্রধান বিচারপতি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup