কোন দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে, তা সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপরই লিখতে হবে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে (অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থা)। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে একথা জানাল কেন্দ্র।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং বিচারপতি প্রতীক জালানের বেঞ্চ বুধবার হলফনামা পেশ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়, লিগাল মেট্রোলজি অ্যাক্ট মোতাবেক লেনদেনের জন্য যে ডিজিটাল এবং ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়, তাতে কোন দেশ থেকে সংশ্লিষ্ট পণ্য আনা হচ্ছে, তা ই-কমার্স সাইটগুলিকে দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
একইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সেই নিয়ম কার্যকর করার দায়িত্ব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির। ফলে নিয়ম লঙ্ঘন করা হলে সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লিগাল মেট্রোলজি আধিকারিকরা।
২০০৯ সালের লিগাল মেট্রোলজি অ্যাক্ট লাগু করার দাবি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অমিত শুক্লা নামে এক আইনজীবী। সেই আইনের আওতায় ই-কমার্স সংস্থাগুলি যে পণ্যগুলি বিক্রি করে, সেগুলি কোন দেশ থেকে আনা হচ্ছে, তা দেখানোর নিয়মও কার্যকর করার দাবি জানান। আইনজীবী সওয়াল করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই নিয়ম আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ কেন্দ্রের তরফে মানুষকে কোনও প্রতিবেশী দেশের পরিবর্তে ভারতে তৈরি পণ্য ব্যবহারের আর্জি জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের মধ্যে কেন্দ্র এমনিতেই ‘ভোকাল ফর লোকাল’ ডাক দিয়েছে। জনস্বার্থ মামলায় সেই বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে। ফলে কেন্দ্রও আপত্তি করেনি। কারণ সরাসরি চিন থেকে আমদানি বন্ধ করা মোটেই সোজা কাজ নয়। তার থেকে চিনের বিরুদ্ধে দেশের অন্দরে যে জনমত তৈরি হয়েছে, তাতে ভর করে অনেকেই চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্য নাও কিনতে পারেন। ফলে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা চাপানোও হবে না, আবার দেশীয় উৎপাদনও বল পাবে। কমবে চিন থেকে আমদানি।