অসীমা গ্রোভার
হাড়হিম করা দুর্ঘটনা কানাডায়। গত ২৪ অক্টোবর কানাডার টরন্টোতে একটি জ্বলন্ত টেসলায় দুই ভাই-বোনসহ চার ভারতীয় বন্ধুর মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন কেতাবা গোহিল (২৯), তাঁর ভাই নীলরাজ (২৫), জয়রাজ সিং সিসোদিয়া এবং দিগ্বিজয় প্যাটেল।
গার্ড রেলে ধাক্কা মারে গাড়িটি। এরপর সেই বৈদ্যুতিন গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
এই ঘটনার একমাত্র বেঁচে থাকা ব্যক্তি ছিলেন এক তরুণী। যিনি ভাগ্যক্রমে কানাডা পোস্টের একজন কর্মচারী রিক হার্পার জ্বলন্ত মডেল ওয়াইয়ের একটি জানালা ধাতব খুঁটি দিয়ে ভেঙে দেওয়ার পরে ওই তরুণী বেরিয়ে আসতে পারেন।
টরন্টো দুর্ঘটনার পরে টেসলার সুরক্ষা নকশা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্চে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা সম্পর্কে হার্পার তখন থেকেই মুখ খুললেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন, আমার মনে হয়েছিল যে ওই যুবতী ভিতর থেকে দরজা খোলার চেষ্টা করেছিলেন, কারণ তিনি বেরিয়ে আসার জন্য বেশ মরিয়া ছিলেন।
'আমি জানি না এটা ব্যাটারি ছিল নাকি অন্য কিছু। কিন্তু তিনি বের হতে পারেননি। হার্পার জানান, গাড়ির একটি জানালা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই মানসিক চাপে থাকা ওই নারী প্রথমে গাড়ি থেকে পড়ে যান। ঘন ধোঁয়ায় গাড়ির অভ্যন্তরে ঢেকে যাওয়ায় হার্পার তখন বুঝতে পারেননি যে ভিতরে অন্য লোকজনও আটকা পড়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ এখনও তদন্ত করা হচ্ছে, ইভির দরজাগুলি খোলার জন্য শক্তি প্রয়োজন কারণ একটি বোতাম হ্যান্ডলগুলির পরিবর্তে তাদের আনলক করে।
ক্যালগারি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ক্যাপ্টেন উল্লেখ করেছেন যে একটি দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎ ব্যর্থ হতে পারে, যার ফলে দরজাগুলি আনলক করতে মারাত্মক অসুবিধা হয়। তবে গত মাসে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় জড়িত গাড়িটি টেসলা মডেল ওয়াই-তেও ম্যানুয়াল ওভাররাইড বোতাম রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ওখানে যে বোতাম রয়েছে সেটা অনেকেই জানেন না। তাছাড়া ওই পরিস্থিতিতে অনেকে টেনশনে বিষয়টি সম্পর্কে হয়তো বুঝতে পারছিলেন না।
এদিকে কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি হল তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই তদন্ত চলছে। টেসলার ইলেকট্রনিক দরজায় ত্রুটি সংক্রান্ত বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। ইভির দরজা খোলার জন্য় অনেক সময় হ্য়ান্ডেলের জায়গায় বোতামের প্রয়োজন হয়। এদিকে দুর্ঘটনায় পড়ে গেলে চরম উদ্বেগের মধ্য়ে এটা মনে না থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এই দুর্ঘটনাটির কারণ নিয়ে ইতিমধ্য়েই নানা কথা উঠতে শুরু করেছে।