মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কারণে রক্ষণাবেক্ষণের দাবির কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁরা স্বাবলম্বী হলেও রক্ষণাবেক্ষণ পেতে পারেন। সম্প্রতি এক মামলার রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট।
২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রাক্তন স্ত্রীকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা খোরপোষ দিতে অস্বীকার করে হাই কোর্টে আবেদন জানান ৫২ বছর বয়েসি পুনের এক ব্যবসায়ী। সেই আবেদনের শুনানিতেই এ হেন মন্তব্য করেন বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি এন জে জমাদার।
আবেদনকারীর যুক্তি, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী বিউটি পার্লর চালান। সেই সূত্রে তাঁর ভালো রোজগার হয়। তাই তাঁর মাসিক খোরপোষের দাবি ভিত্তিহীন।
শুনানিতে বিচারপতি জমাদার বলেন, স্ত্রী কোনও ব্যবসা সূত্রে আয় করেন বলেই তাঁর মাসিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ চাওয়ার অধিকার নেই, এই যুক্তি টেকে না। এ ক্ষেত্রে তাঁর অধিকার গুরুত্ব পাবে, তাঁর আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া নয়, জানিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি বলেন, বর্তমানে বিউটি পার্লার সূত্রে আয় অনেকাংশেই মরশুমি। তার উপরে পুরোপুরি নির্ভর করা চলে না। তা ছাড়া, যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচও বেড়েছে বহু গুণ।
তবে বিবাহ বিচ্ছিন্নার দাবি করা অর্থের পরিমাণ কমিয়ে মাসিক ১২ হাজারে নির্দিষ্ট করেছে আদালত।