রবিবার বিকেলে ৫.৪৫ নাগাদ রাজধানী দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকায় ভূমিকম্প হয়। প্রায় ৫ সেকেন্ড ধরে অনুভুত হয় কম্পন।
রীতিমত নড়ে ওঠে চেয়ার-টেবিল। দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে পোস্ট করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। জানা যায় শুধু দিল্লি না, উত্তর ভারতের অন্যান্য স্থানেও ভূমিকম্পের রেশ টের পাওয়া গিয়েছে।
আইএমডি জানিয়েছে পূর্ব দিল্লি ছিল এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। রিখটার স্কেলে ৩.৫ তীব্রতা ছিল এই ভূমিকম্পে। তার থেকে বোঝা যায় যে এটি তেমন বড়মাপের ভূকম্পন ছিল না। যদিও করোনার জেরে ত্রস্ত নাগরিকরা এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।
সবাই ভালো আছেন কিনা, সেটার খোঁজ নেওয়ার জন্য টুইট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্সেসের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে যে দিল্লির সোনিয়া বিহার ছিল এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। মাটির ৮ কিলোমিটার নীচে এই ভূকম্পন হয়েছিল। এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতির এখনও খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন সংস্থা ইউএসজিএস-এর হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পরে তীব্রতা ছিল ৩.৭ এবং মাটির দশ কিলোমিটার নীচে ছিল উত্সস্থল।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে দিল্লি সিসমিক জোন চারের অন্তর্ভুক্ত। হিমালয়ের কাছে। তাই মাঝে মাঝে ভূমিকম্প হবে, সেটা আশ্চর্যের কিছু না। অনেক নাগরিক জানিয়েছেন যে তারা গুড়গুড় শব্দ শুনেছিলেন, যদিও ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল না। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে মাটির যেহেতু খুব বেশি নীচে হয়নি ভূকম্পনটি, তাই মনে হয়েছে অনেক জোরে হল ভূমিকম্প।