মহারাষ্ট্র ভোট নিয়ে কংগ্রেস সদ্য শুক্রবারই একটি আপৎকালীন ‘মেমোরেন্ডাম’ পেশ করে নির্বচন কমিশনের কাছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, মহারাষ্ট্র নির্বাচনে ‘গুরুতর অসঙ্গতি’ হয়েছে। আর তা নিয়েই তারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল। এদিকে, কমিশন কংগ্রেসের লেখা চিঠির প্রেক্ষিতে, রাহুল গান্ধীদের শিবিরের প্রতিনিধি দলকে ডেকে পাঠিয়েছে। কংগ্রেসের ‘যুক্তিসঙ্গত’ উদ্বেগ ঘিরে কমিশন পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছে।
হরিয়ানা নির্বাচনের পর কংগ্রেস, ইভিএম-র প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সদ্য কংগ্রেস একঝাঁক অভিযোগ তোলে মহারাষ্ট্র ভোটপর্ব ঘিরে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তালিকা থেকে ভোটারদের নির্বিচারে মুছে ফেলা এবং পরবর্তীতে চূড়ান্ত ভোটার প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ১০,০০০ এর বেশি ভোটার যোগ করা। এছাড়াও গুরুতর অভিযোগের সুর চড়িয়ে কংগ্রেস বলে,' ভোটের দিন বিকেল ৫ টার পর থেকে অবর্ণনীয়ভাবে ভোটার শতাংশের বৃদ্ধি, যা ঘোষিত হয়েছিল কমিশনের দ্বারা।' কংগ্রেসের অভিযোগ,' জুলাই ২০২৪ থেকে নভেম্বর ২০২৪এর মধ্যে ভোটার তালিকায় আনুমানিক ৪৭ লাখ ভোটারের অভূতপূর্ব বৃদ্ধি' দেখেছে মহারাষ্ট্র। কংগ্রেসের অভিযোগ,'এটি লক্ষণীয় যে ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে যেখানে গড়ে ৫০,০০০ ভোটার বেড়েছে, শাসক পক্ষ এবং তার বন্ধুরা এই আসনগুলির মধ্যে ৪৭টি থেকে জয়লাভ করেছে।'
কংগ্রেসের অভিযোগের পরদিনই নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে, ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ্ব ছিল। তারা বলছে, ভোটের প্রতি প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের ও তাঁদের এজেন্টদের উপস্থিতি ছিল। কমিশন এছাড়াও বলেছে করেছে যে রাজনৈতিক দলগুলির সম্পৃক্ততার সাথে একটি স্বচ্ছ ইলেকটোরাল রোল আপডেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে৷ কমিশন এখনও কংগ্রেসকে তার সমস্ত বৈধ উদ্বেগ নিয়ে আরও পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছে, বলে জানা যাচ্ছে। ভোটারদের ভোটদানের ডেটা সম্পর্কিত কংগ্রেসের উত্থাপিত ইস্যুটির প্রতিক্রিয়ায়, কমিশন জোর দিয়েছিল যে ভোটার ভোটদানের ডেটাতে কোনও পার্থক্য নেই যা সমস্ত প্রার্থীর ভোটকেন্দ্র-ভিত্তিক এবং যাচাইযোগ্য। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র ভোটে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোটের কাছে হেরে যায় কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি), শরদ পাওয়ারের এনসিপির জোট। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস পেয়েছে ১৬ টি আসন। এরপর সদ্য কমিশনকে এই ভোটপর্ব নিয়ে চিঠি লিখেছে রাহুল গান্ধীদের শিবির।