নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনও ব্যক্তি যেন রাজনৈতিক দলকে ২০০০ টাকার বেশি নগদে অনুদান না দিতে পারে। কালো টাকার প্রবাহ রুখতে এমনই সুপারিশ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই মর্মে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে একটি চিঠি লেখেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।রাজনৈতিক দলগুলির অনুদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই সুপারিশ বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুপারিশ করেন, হয় নগদ অনুদানের সর্বোচ্চ সীমা রাজনৈতিক দলের মোট অনুদানের ২০ শতাংশ করা হোক বা তা ২০ কোটি টাকা (যেটা কম) করা হোক।
উল্লেখ্য, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, বর্তমানে ২০ হাজার টাকার বেশি নগদ অনুদানের ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলগুলি দাতার নাম প্রকাশ করতে বাধ্য। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করে এই ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এবং এই আইন সংশোধনের জন্যই আইনমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। দেশে কালো টাকার কারবার নিয়ন্ত্রণে এই প্রস্তাব বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ একই ধরনের সুপারিশ করা হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে। কমিশনের মত, দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতে সংস্কার আনা প্রয়োজন। যে সংস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে, তার জন্য শংশোধন করতে হবে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের এই বিষয়টিকে। যাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তহবিলে বিপুল অনুদান দেন অথচ নিজেদের নাম প্রকাশ করেন না, তাঁদের উপর নজরদারি বাড়ালেই নির্বাচনের সময় কালো টাকার রমরমা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।