সবেমাত্র ঘোষণা হয়েছে ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট। এরপরই সদ্য সপ্তাহের মাঝে সেরাজ্যে হিংসার ছবি উঠে আসে। এরপরই পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে ত্রিপুরার ৩ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হিংসার সময় যথাযথ বন্দোবস্ত কেন নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কমিশন।
নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরার পরিস্থিতিতে নজর রাখতে ৩ জন বিশেষ অবজারভারকে নিয়োগ করেছে। এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ত্রিপুরার মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজিকে সাফ জানানো হয়েছে, পার্টির হয়ে কাজ করছেন, এমন অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে। যাতে সর্বস্তরে সমস্ত পার্টি বিচরণ করতে পারে সমানভাবে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মুখ্য সচিব ও ডিজিকে দেওয়া নির্দেশে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, হিংসার সময় যে অফিসারেরা যথাযথ ব্যবস্থা নেননি সেই ৩ অফিসারদের বিরুদ্ধে যেন সত্ত্বর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ত্রিপুরার জিরনিয়ার সাব ডিভিশনাল অফিসার এই তালিকায় রয়েছেন। এছাড়াও রানিবাজার এলাকার ২ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ৩ জনকেই দায়িত্ব থেকে আপাতত সরানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সদ্য বুধবার ত্রিপুরায় একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষ দেখা যায়। যেখানে সামনেই নির্বাচন,তার আগে রাজ্যে এমন ধরনের হিংসার ঘটনায় স্বভাবতই উদ্বেগে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে, বুধবারই ত্রিপুরায় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। ভোটের নির্ঘণ্টে ত্রিপুরায় ১ দফায় ভোট হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে ভোট। ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে ২ মার্চ। এদিকে, সদ্য বুধবার ত্রিপুরার ওই সংঘর্ষে কংগ্রেসের ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। অভিযোগ রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। পশ্চিম ত্রিপুরার এই হিংসার ঘটনায় কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি অজয় কুমার আহত হয়েছেন। ঘটনা ঘিরে বিরোধিরা সরব হয়েছে। এলকায় নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে কমিশন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup