২২জন বিজু জনতা দলের বিধায়ককে একই সঙ্গে একাধিক জেলা পরিকল্পনা কমিটি ও বিশেষ উন্নয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। মিনিস্টার অফ স্টেটএর স্ট্যাটাসও পাচ্ছিলেন তাঁরা। তবে এবার তাদের সম্পর্কে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২২ জনের মধ্যে ২০জন বিধায়ককে ‘এক্সেমটেড ফ্রম ডিসকোয়ালিফিকেশন’ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। বাকি দুজন বিধায়ক পদে বসার আগেই তাঁদের সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
এদিকে চলতি বছরের জুলাই মাসে ওড়িশা হাইকোর্টের তরফে ওড়িশার রাজ্য়পালকে জানানো হয়েছিল যে ২২জন বিজেডি বিধায়ক বিভিন্ন উন্নয়ন কাউন্সিল ও জেলা পরিকল্পনা কমিটিতেও থেকে গিয়েছেন। এদিকে সংবিধানের আর্টিকেল ১৯১(১)(এ) অনুসারে কোনও ব্যক্তিকে ডিস কোয়ালিফাই হিসাবে গণ্য় করা হবে যদি তিনি একই সঙ্গে বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের কোনও অফিস অফ প্রফিটেও তিনি থেকে থাকেন। তবে এই জটিলতা এড়াতে ওড়িশা সরকার ২০১৬ সালে Odisha offices of Profit Amendment Act তৈরি করে। সেখানে উল্লেখ করা হয় যে সমস্ত বিধায়করা জেলা পরিকল্পনা কমিটি, স্পেশাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল ও পশ্চিম ওড়িশা উন্নয়ন কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন থাকবেন তাঁদেরকে বিধায়ক পদ থেকে ডিকোয়ালিফাই করা যাবে না। এদিকে হাইকোর্টের কাছে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে ২২জন বিজেডি বিধায়ক যাঁদেরকে বিভিন্ন কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে তাঁরা রাষ্ট্র মন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রমন্ত্রীর সমান মর্যাদা পেয়ে যাবতীয় ভাতাও নিচ্ছেন।