আজ সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আগামিকাল তিনি বাজেট পেশ করতে চলেছেন। এটি তাঁর সপ্তম বাজেট বক্তৃতা হতে চলেছে। তার আগে দেশের বর্তমানে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করতে এবং গত অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্লেষণ করতেই সংসদে পেশ হয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-২৪। এই রিপোর্ট আদতে দেশের অর্থনীতির একটি রিপোর্ট কার্ড। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের নেতৃত্বে অর্থনীতিবিদদের একটি দল এই অর্থনৈতিক সমীক্ষাটি তৈরি করছে। (আরও পড়ুন: IT কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ, নিয়ম বদলের ভাবনা সরকারের, মাথা চাপড়াবেন চাকরিজীবীরা?)
আরও পড়ুন: 'মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে SC, ডিএ মামলা নিয়ে চলছে চক্রান্ত', বিস্ফোরক সরকারি কর্মীরা
অর্থনৈতিক সমীক্ষায় কর্মসংস্থান, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির মতো ইস্যুতে পরিসংখ্যানগত তথ্য তুলে ধরে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, ভারতের অর্থনীতি আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। এদিকে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে চাকির চাহিদা মেটাতে অ-কৃষি ক্ষেত্রে ২০৩০ সাল পর্যন্ত টানা বার্ষিক ৭৮.৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে দেশে। এছাড়া চলতি অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ থেকে ৭ শতাংশ থাকতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। (আরও পড়ুন: 'নিজেদের ব্যর্থতা লুকোতে সংসদকে ব্যবহার করে', বাজেটের আগে বিরোধীদের তোপ মোদীর)
আরও পড়ুন: বাজেটের আগে এই ৮ সংস্থার মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন একলাফে বেড়েছে ২.১০ লাখ কোটি!
সংসদে পেশ হওয়া অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, 'ভারতীয় অর্থনীতি বর্তমানে শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখেও ভারতীয় অর্থনীতি স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে ভারতীয় অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরতে পেরেছে নীতিনির্ধারকদের জন্য। এই আবহে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও, উচ্চ প্রবৃদ্ধির আকাঙ্খা সহ একটি দেশের জন্য পরিবর্তনই একমাত্র ধ্রুবক। কোভিডের পরে ভারতীয় অর্থনীতির এই ঘুরে দাঁড়ানো বজায় রাখার জন্য ঘরোয়া ফ্রন্টে ভারী হেভিলিফটিং করতে হবে। কারণ বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জলবায়ুর মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।'
আরও পড়ুন: ৩৪০০ কোটি টাকার বন্ড বিক্রি RBI-এর, ভারতের রিজার্ভে জুড়েছে ৯.৭ বিলিয়ন ডলার
অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে যে পরিষেবা খাত একটি প্রধান কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী সেক্টর। তবে নির্মাণ খাত সম্প্রতি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে কর্মসংস্থানের দিক থেকে। ঋণ খেলাপির জেরে উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থানের হার কমেছে গত এক দশকে। তবে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে পুনরায় উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থানের হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। এদিকে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে চাকির চাহিদা মেটাতে অ-কৃষি ক্ষেত্রে ২০৩০ সাল পর্যন্ত টানা বার্ষিক ৭৮.৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে দেশে।
এদিকে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়, গত ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতে মূল্যস্ফীতির গড় হার ছিল ৬.৭ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই মূল্যস্ফীতির গড় হার কমে ৫.৪ শতাংশ হয়েছে। এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ থেকে ৭ শতাংশ থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে।