মঙ্গলবার 'ইকোনমিক সার্ভে ২০২৩' প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাজেটের ঠিক একদিন আগে এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। সংসদের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রাক-বাজেট নথি পেশ করবেন।
সংসদের বাজেট অধিবেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে। বিরোধীরা ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার উপর বিবিসি-র তথ্যচিত্র সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সরব হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা বা ইকোনমিক সার্ভে কী? এক নজরে জেনে নিন
সহজ ভাষায়, অর্থনৈতিক সমীক্ষা একটি প্রাক-বাজেট নথি বলা যেতে পারে। এটি তৈরি করেন অর্থ মন্ত্রকের অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের আধিকারিকরা।
প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার (ভি অনন্ত নাগেশ্বরন) তত্ত্বাবধানে সমগ্র সমীক্ষার কাজটি সম্পন্ন হয়।
এটি বাজেট অধিবেশনের সূচনায় সংসদের উভয় কক্ষে উপস্থাপন করা হয়।
এই নথির মাধ্যমে শেষ এক অর্থবর্ষে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। সেটি দেখলেই বোঝা যায় যে, কোন উন্নয়নমূলক কর্মসূচী কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে।
কোথায় পরিবর্তন, নজরদারি প্রয়োজন সেই সম্পর্কেও একটি ধারণা পায় সরকার। পরবর্তী অর্থবর্ষের জন্য (২০২৩-২৪) বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে ১৯৫০-৫১ সালে প্রথমবার অর্থনৈতিক সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সময়ে এটি বাজেট নথিরই একটি অংশ ছিল।
পরে ১৯৬০-এর দশকে অর্থনৈতিক সমীক্ষাকে বাজেট নথির থেকে আলাদা করা হয়। কেন্দ্রীয় বাজেটের ঠিক এক দিন আগে এটি পেশ করা শুরু হয়।
এবারের সমীক্ষায় অর্থনীতির বর্তমান অবস্থার একটি গভীর বিশ্লেষণ থাকছে।
গত বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষার কেন্দ্রীয় থিম ছিল 'দ্রুত উদ্যোগ'। তার মাধ্যমে কোভিড পরিস্থিতিতে ভারতের অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল, তা তুলে ধর হয়েছিল।