২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিশ্বের বাকি শেয়ার বাজারগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারতের শেয়ার বাজার। আর এর নেপথ্যে মূল কারণ হল দেশের খুচরো বিনিয়োগকারীরা। এমনই বলা হয়েছে আজ সংসদে পেশ হওয়া অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে। এরই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় শেয়ার বাজারের কারণেই দেশের অর্থনীতিও প্রবৃদ্ধির গল্প লিখতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষেই সেনসেক্স বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। বর্তমানে সেনসেক্স ৮০ হাজার পয়েন্টের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ৩৪০০ কোটি টাকার বন্ড বিক্রি RBI-এর, ভারতের রিজার্ভে জুড়েছে ৯.৭ বিলিয়ন ডলার)
আরও পড়ুন: বাজেটের আগে এই ৮ সংস্থার মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন একলাফে বেড়েছে ২.১০ লাখ কোটি!
সংসদে উপস্থাপিত অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-২৪ উল্লেখ করেছে যে ভারতের প্রবৃদ্ধির নেপথ্যে মূলধন বাজারের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং ডিজিটাইজেশনের অগ্রগতির কারণে দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সমীক্ষা রিপোর্টে। এতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করেও ভারতীয় শেয়ার বাজার স্থিতিশীল স্থানে রয়েছে। এবং তার ফলে ভারতীয় অর্থনীতিও স্থিতিশীল অবস্থায় আছে।
আরও পড়ুন: IT কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ, নিয়ম বদলের ভাবনা সরকারের, মাথা চাপড়াবেন চাকরিজীবীরা?
অর্থৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের উদীয়মান শেয়ার বাজারগুলির তুলনায় ভারতীয় শেয়ার বাজারের পারফরম্যান্স দৃষ্টান্তমূলক ছিল। এর জন্য প্রাথমিকভাবে বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করে ভারত স্থিতিশীল এবং দৃঢ় অবস্থায় আছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশীয় বিনিয়োগকারী বেসের শক্তির ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।'
আরও পড়ুন: 'মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে SC, ডিএ মামলা নিয়ে চলছে চক্রান্ত', বিস্ফোরক সরকারি কর্মীরা
এদিকে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানানো হয়, গত ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতে মূল্যস্ফীতির গড় হার ছিল ৬.৭ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই মূল্যস্ফীতির গড় হার কমে ৫.৪ শতাংশ হয়েছে। এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ থেকে ৭ শতাংশ থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে।
এই সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, 'ভারতীয় অর্থনীতি বর্তমানে শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখেও ভারতীয় অর্থনীতি স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে ভারতীয় অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরতে পেরেছে নীতিনির্ধারকদের জন্য। এই আবহে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও, উচ্চ প্রবৃদ্ধির আকাঙ্খা সহ একটি দেশের জন্য পরিবর্তনই একমাত্র ধ্রুবক। কোভিডের পরে ভারতীয় অর্থনীতির এই ঘুরে দাঁড়ানো বজায় রাখার জন্য ঘরোয়া ফ্রন্টে ভারী হেভিলিফটিং করতে হবে। কারণ বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জলবায়ুর মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।'