করোনাকালে লকডাউনের জেরে স্বাভাবিক ভাবেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। কিন্তু একদিকে ভ্যাকসিন অন্যদিকে গ্রাহকদের চাহিদা বৃদ্ধির জেরে আগামী অর্থবর্ষে চাঙ্গা হয়ে যাবে অর্থনীতি।এমনই পূর্বাভাস মিলল অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে। এদিন বাজেট অধিবেশনের শুরুতে ইকনমিক সার্ভে সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পরের বছর ১১ শতাংশ হারে জিডিপি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।
চলতি বছর ভারতীয় অর্থনীতি ৭.৭ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চার দশকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে খারাপ ফলাফল। তবে পরের বছর ভারতীয় অর্থনীতি V আকারে অসাধারণ ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বলে সার্ভেতে বলা হয়েছে। তবে অতিমারির আগের পরিস্থিতি ফিরতে আরো দুই বছর লাগবে।
সার্ভেতে বলা হয়েছে যে অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সংস্কারের প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির এক শতাংশ নয় কমপক্ষে তিন শতাংশ টাকা ঢালার কথাও সার্ভেতে লিখেছেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।
যদি করোনার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে ১১ শতাংশেরও বেশি হারে জিডিপি বাড়তে পারে বলে সার্ভের পূর্বাভাস। চলতি বছর একমাত্র আশার খবর কৃষিক্ষেত্রে থেকেই বলে সমীক্ষায় প্রকাশ। তবে যতটা খরচ হবে বলে মনে করা হয়েছিল এই অর্থবর্ষে, তার থেকে বেশি হয়েছে বলে মনা করা হচ্ছে। প্রায় ১৭ বছর বাদে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস হবে বলেও জানানো হয়েছে। মূলত পরিষেবা ক্ষেত্রে রফতানির জন্যই এই উলাটপুরান।
আগামী বছরগুলিতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার সুগম করার জন্য সংস্কার, লাল ফিতের সুতো কমানো, পরিকাঠামো খাতে টাকা ঢালা, উৎপাদন ক্ষেত্রে উৎসাহদান, পরিষেবা ক্ষেত্রে চাহিদা ফেরানো, কম সুদের হার ইত্যাদি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।