চলত বেআইনি বেটিং, গ্রাহকদের ৩০০% ক্যাশব্যাকের লোভ দেখাত ফেয়ারপ্লে অ্যাপ। এমনই অভিযোগ করল ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অর্থ পাচারের তদন্তে দেখা গেছে, ফেয়ারপ্লে অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের উচ্চ হারে ক্যাশব্যাকের লোভ দেখিয়ে তাদের ই-ওয়ালেটে বড় অঙ্কের অর্থ জমা দিতে উৎসাহিত করেছিল। পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছিল এই অ্যাপে। ক্রিকেট ম্যাচ এবং অন্যান্য ইভেন্টগুলিতে অবৈধ অনলাইন বেটিংয়ের জন্য ব্যবহারকারীদের ই-ওয়ালেটে টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অর্থের একটি অংশ বৈধ ব্যবসার আড়ালে সরিয়ে নেওয়া হত। পরে তা পুনরায় বৈধ ব্যবসাতেই বিনিয়োগ করা হত। (আরও পড়ুন: সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকি দেওয়া ইউনুসের গলার সুর হঠাৎ যেন বদলে গেল, বললেন...)
আরও পড়ুন: 'রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী' করতে $২৯ মিলিয়ন দেবে না US, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে?
আরও পড়ুন: ভারতের রফতানির ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে মার্কিন শুল্ক? রিপোর্ট প্রকাশ SBI-এর
এই বিষয়ে ইডির এক আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, 'ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য পেমেন্ট গেটওয়ে ছাড়াও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।' রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজ্য সাইবার সেলে সংস্থাটির বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। এর ভিত্তিতে দুবাই ভিত্তিক ফেয়ারপ্লে স্পোর্ট এলএলসির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তদন্ত শুরু করেন ইডি তদন্তকারীরা। এফআইআর অনুসারে, ফেয়ারপ্লে প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য কিছু অ্যাপ্লিকেশন ২০২৩ সালে ক্রিকেট ম্যাচ এবং ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের অবৈধ সম্প্রচার এবং বেটিংয়ে জড়িত ছিল। (আরও পড়ুন: ইনফোসিসের শতাধিক ফ্রেশার ছাঁটাইয়ের ঘটনায় এবার রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র)
আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি কবে চূড়ান্ত হবে? বড় দাবি করলেন পীযূষ গোয়েল
ইডির অভিযোগ, ভারতে ব্যবসা করার জন্য তাদের কোনও রেজিস্ট্রেশন ছিল না এবং তহবিল সংগ্রহের জন্য ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত। এই মামলায় দুই ভাই চিরাগ শাহ ও চিন্তন শাহকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ইডি আদালতকে জানিয়েছে, এই দুজন বেটিং প্ল্যাটফর্মের প্রযুক্তিগত দিকগুলি তদারকি করেছিলেন এবং এর কার্যক্রমে সহায়তা করেছিলেন। এদিকে ধৃতদের আইনজীবী দাবি করে, এই মামলায় পুলিশে দায়ের এফআইআর খারিজ করেছে বম্বে হাই কোর্ট। এই আবহে ইডির মামলার গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। তবে ধৃতদের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠায় আদালত।