পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ৬,৪৯৮ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর ২৯.৭৫ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। বুধবার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নীরবের বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ভারতে কিছু স্থাবর সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্কে থাকা টাকা প্রভৃতি। মুম্বাই জোনাল অফিস প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএএলএ) ২০০২-এর এই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার করতে দেরি করেছে এজেন্সি, বিদেশে পালিয়েছে নীরব মোদীরা, জানাল আদালত
এখনও অবধি সব মিলিয়ে নীরবের চার হাজার কোটি টাকার বেশি অঙ্কের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ভারতে এবং বিদেশে নীরব মোদী এবং তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত ২,৫৯৬ কোটি মূল্যের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এছাড়াও, মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের নির্দেশে অর্থনৈতিক অপরাধী আইনে নীরবের ৬৯২ কোটি মূল্যের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১,০৫২.৪২ কোটি টাকা সফলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাঙ্কগুলি অর্থাৎ পিএনবি এবং কনসোর্টিয়াম ব্যাঙ্ককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলি সম্পদ নিলামের জন্য শুনানি চলছে। যদিও তাতে আইনি বাধা দিতে চাইছেন নীরব ঘনিষ্ঠরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নীরব মোদী এবং তাঁর কাকা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ১৩,৫০০ কোটি টাকার জালিয়াতি করার অভিযোগ ওঠে। যা, ভারতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি। দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি এবং সিবিআই। পরে ২০১৯ সালের মার্চে ব্রিটেনে নীরব মোদীকে গ্রেফতার করা হয়। এখন সেখান থেকে তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের মামলা চলছে। বর্তমানে তিনি হেফাজতে রয়েছেন । নয়াদিল্লি তাঁকে প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালালেও তিনি দেশে ফিরতে নারাজ। তবে ব্রিটেনের আদালত মোদীর বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে নীরব মোদী যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেখানকার আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন টনক। বর্তমানে তিনি ব্রিটেনের কারাগারে রয়েছেন। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।