ED's Proof against CM in Graft case: মুখ্যমন্ত্রী জড়িত আর্থিক তছরুপের সঙ্গে, আমাদের হাতে প্রমাণ আছে, দাবি ইডির

পিএমএলএ (আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন) মমলার চার্জশিটে পয়লা নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে এক ইডি আধিকারিক দাবি করেছেন, চার্জশিটে নাম থাকা অপর এক অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছেন।

এক দশক পুরনো এক মামলায় চরম বিপাকে পড়লে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি। এই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে বড় দাবি করল ইডি। পিএমএলএ (আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন) মমলার চার্জশিটে পয়লা নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে রেভান্থের নাম রেখেছে ইডি। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হায়দরাবাদের আদালতে হাজির হবেন রেভান্থ। (

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের এই মামলায় ২০১৯ সালে ইডির জেরার মুখে পড়েছিলেন রেভান্থ রেড্ডি। সেই সময় নাকি তিনি তদন্তকারী অভিসারদের কোনও প্রশ্নেরই সরাসরি জবাব দেননি। বরং সেই সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এই আবহে আদালতের নথি এবং তদন্তে তাঁদের হাতে আসা তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে রেভান্থের বিরুদ্ধে মামলা সাজিয়েছে ইডি।

তবে কোন মামলায় রেভান্থের বিরুদ্ধে উঠেছে এই গুরুতর অভিযোগ? ২০১৫ সালে তেলাঙ্গানা বিধান পরিষদের নির্বাচনের আগে এক বিধায়ককে ঘুষ দিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন রেভান্থ রেড্ডি। দাবি করা হয়, এলভিস স্টিফেনসন নামক সেই বিধায়ককে ৫০ লাখ টাকা নগদ দিচ্ছিলেন রেভান্থ। টিডিপি প্রার্থী ভেম নরেন্দর রেড্ডির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্যে এলভিসকে এই ঘুষ দেওয় হচ্ছিল। সেই সময় রেভান্থ টিডিপি বিধায়ক ছিলেন। পরে ২০১৮ সালে এই মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডি। বিধায়ক এলভিসকে জেরা করে ইডি। এলভিস এই মামলায় অভিযোগকারী হয়ে যান। এদিকে ২০১৮ সালেই রেভান্থ টিডিপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তেলাঙ্গানায় বিপুল জয় পায় কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন রেভান্থ রেড্ডি।

এর আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ২০২১ সালের জুলাই মাসেই এই ঘুষ কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করেছিল। তাতে রেভান্থকে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এর সঙ্গে আরও ৪ জনের নাম ছিল সেই চার্জশিটে। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইডি আধিকারিক বলেন, 'মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মাথিয়া জেরুসালেম নিজের বয়ানে নিশ্চিত করেছেন যে রেভান্থ রেড্ডি তাঁকে এলভিস স্টিফেনসনের সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলেন। এলভিসকে ক্রস ভোটিংয়ের জন্যে রাজি করানোর জন্য নির্দেশ ছিল মাথিয়ার ওপর। রেভান্থ রেড্ডি নাকি মাথিয়াকে বলেছিলেন, এলভিস টিডিপির পক্ষে ভোট দিলে তাঁকে ৫ কোটি দেওয়া হবে এবং ভোটদান থেকে বিরত থাকলে এলভিসকে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হবে। সঙ্গে জেরুসালেম ঘুরতে যাওয়ার টিকিট দেওয়া হবে।'

এদিকে জেরার সময় রেভান্থকে যখন ঘুষ দেওয়ার ভিডিয়ো দেখানো হয়, তখন নাকি তিনি সরাসরি স্বীকার করেননি যে টাকা দেওয়া ব্যক্তি তিনি নিজে। তিনি নাকি বলেছিলেন, 'ভিডিয়োর ব্যক্তিকে আমার মতো দেখতে।' আজ হায়দরাবাদের আদালতে এই মামলাতেই হাজিরা দিতে হবে রেভান্থ রেড্ডিকে।