বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ইডির নিশানায় লালুর পরিবার, ৬০০ কোটির কেলেঙ্কারি, তেজস্বীর বাংলোর দাম কত?

ইডির নিশানায় লালুর পরিবার, ৬০০ কোটির কেলেঙ্কারি, তেজস্বীর বাংলোর দাম কত?

প্রচুর অলঙ্কারের সন্ধান পেয়েছে ইডি।

ইডি জানিয়েছে, তেজস্বী যাদব নিজে তল্লাশির সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই বিল্ডিংটাকে নিজের বাড়ি হিসাবেই ব্যবহার করেন। এদিকে সিবিআইও তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। কাজের বিনিময়ে জমি নেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

নীরজ চৌহান

এবার ইডির নজরে লালু প্রসাদের পরিবার। লালু পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাড়িতে ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়েছে ইডি।  পটনা, রাঁচি, মুম্বইতেও হয়েছে এই অভিযান। ইডির দাবি প্রায় ৬০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির সন্ধান তারা পাচ্ছে।  আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন 

এই কেলেঙ্কারি করা হয়েছিল। এজেন্সির দাবি প্রায় ৩৫০কোটি অস্থাবর সম্পত্তি ও ২৫০ কোটির বেনামি সম্পত্তি এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। ইডি ইতিমধ্যেই হিসাব বর্হিভুত এক কোটি, বিদেশি মুদ্রা ১৯০০ মার্কিন ডলার, ৫৪০ গ্রাম সোনা, ১.৫ কেজি সোনার অলঙ্কার যার দাম প্রায় ১ কোটি সহ প্রচুর সম্পত্তির কাগজ, সেল ডিল পেয়েছে ইডি। যাদবদের ও অন্য়ান্য বেনামে নানা সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। অন্তত ২৪টি জায়গায় এই সম্পত্তি রয়েছে। 

তেজস্বী যাদব ও লালুর তিন কন্য়া ও প্রাক্তন আরজেডি এমএলএ আবু দোজানার কাছেও তল্লাশি চালায় ইডি। শনিবার ইডি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই সময়ে প্রায় ৬০০ কোটির কেলেঙ্কারির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। বেনামেও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। এগুলি আর্থিক প্রতারণা মামলার আওতায় পড়ছে। এমনকী পটনার বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ এলাকায় লালু প্রসাদের পরিবারের নামে বহু জমি রয়েছে। লালু প্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রচুর জমি সেই যাদব পরিবারের হাতে চলে এসেছিল। বর্তমানে সেই জমির মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। একাধিক বেনামে এই সম্পত্তি রয়েছে।  একটি চারতলা বাংলো, দিল্লির ফ্রেন্ডস কলোনিতে মেসার্স এবি এক্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের নামে রয়েছে। এই কোম্পানির মালিক হল তেজস্বী যাদব আর তার পরিবার। এটি মাত্র ৪ লাখ টাকায় নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বাস্তবে এই বাংলোর বর্তমান মূল্য ১৫০ কোটি টাকা। 

একাধিক ক্ষেত্রে মুম্বইতে সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। জুয়েলারির ব্যবসাতেও টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। অবৈধ উপায়ে এই টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই বাংলোটিকে দুটি কোম্পানির নামে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এটি তেজস্বী যাদবের বাসস্থান বলেই ব্যবহার করা হয়। ইডি জানিয়েছে, তেজস্বী যাদব নিজে তল্লাশির সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই বিল্ডিংটাকে নিজের বাড়ি হিসাবেই ব্যবহার করেন। এদিকে সিবিআইও তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। কাজের বিনিময়ে জমি নেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। 

বন্ধ করুন