নীরজ চৌহান
দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার চার্জশিট দাখিল করল ইডি। দিল্লির আবগারি পলিসি সংক্রান্ত ব্যাপারে আর্থিক প্রতারণা মামলায় এই চার্জশিট। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে সিসোদিয়ার। তার বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অন মানি লন্ডারিং অ্য়াক্ট লাগু করা হয়েছে।
এদিকে এর আগে গত মাসে জেলবন্দি মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই।
এদিকে ইডির তদন্তে উঠে এসেছে তৎকালীন আবগারি দফতরের মন্ত্রী সিসোদিয়া ধারাবাহিকভাবে আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। বিপুল অঙ্কের অর্থ তিনি অন্য জায়গায় পাঠিয়েছেন। এদিকে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে পেছনের দরজা দিয়ে বিপুল অবৈধ লেনদেন হয়েছে। মদের ব্যবসা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে মণীশ সিসোদিয়া সহ আপ নেতারা বিপুল অঙ্কের অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে গত ২৭ এপ্রিল যে চার্জশিট ইডি পেশ করেছিল সেখানে উল্লেখ করেছিল, ২০২১-২২ এর আবগারি নীতি গোপনে তৈরি হয়েছিল। ঘনিষ্ঠ মদ ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য নানা ছক কষা হয়েছিল। আইওয়াশ করার জন্য জনগণের কাছ থেকে মতামত নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গোটাটাই ছিল লোক দেখানো। সিসোদিয়া তার পদের অপব্যবহার করে নানা কুকীর্তি করে গিয়েছেন বলে ইডির দাবি। দিল্লিতে মদের ব্যবসাকে যাতে একচেটিয়া করা যায় সেকারণে নানা অনৈতিক পথ ধরেছিলেন সিসোদিয়া।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিকে ২০২১-২২ এর সেই আবগারি নীতি অনুসারে দেখা গিয়েছিল মদ কিনলে নানা ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। এমনকী নানা অফারের কথাও বলা হয়েছিল। দিল্লিতে এর আগে এমনটা হয়নি। এদিকে দিল্লির লেফটেনান্ট গভর্নর এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই এই নীতি কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। আপ এই তদন্তের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করা শুরু করে। পরে গ্রেফতার করা হয় মণীশ সিসোদিয়াকে। তিনি বর্তমানে জেলবন্দি।