বিলাসবহুল গাড়ি চোরাচালান-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে দক্ষিণী সুপারস্টার পৃথ্বীরাজ সুকুমারন এবং দুলকার সলমনের। সেই অভিযোগে বুধবার ফের কেরল এবং তামিলনাডুজুড়ে ১৭টি স্থানে একযোগে অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (ফেমা) লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত আইনের অধীনে বিশিষ্ট মালায়ালাম অভিনেতা মামুট্টি, পৃথ্বীরাজ সুকুমারান, দুলকার সালমান এবং অমিত চাক্কালকালের বাড়ি-সহ ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন-ট্রাম্প ‘ভিসা বোমা’ বিপর্যয়! দিশেহারা মার্কিন সংস্থাগুলি, কর্মীদের বিশেষ বার্তা Nvidia-র
এর্নাকুলাম, ত্রিশুর, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম, কোট্টায়াম এবং কোয়েম্বাটোর জুড়ে অভিযান চালানো হয়েছে। তারকাদের পাশাপাশি কয়েকজন গাড়ির মালিক, অটো ওয়ার্কশপ ও ব্যবসায়ীর অফিসেও হানা দেয় ইডি। যারা ভুটান এবং নেপাল থেকে অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে ল্যান্ড ক্রুজার, ডিফেন্ডার এবং মাসেরাটির মতো উচ্চমানের একাধিক গাড়ি ভারতে আমদানি করেছেন। অভিযোগ, ভুটান থেকে কেরলে একাধিক মারুতি এসইউভি গাড়ি পাচার হয়েছে। আর এই পাচারকারীদের কাছ থেকে গাড়ি কিনেছেন বিখ্যাত মালায়ালাম তারকারা। কর্মকর্তাদের মতে, কোয়েম্বাটোর-ভিত্তিক একটি নেটওয়ার্ক ভারতীয় সেনাবাহিনী, মার্কিন দূতাবাস এবং বিদেশ মন্ত্রকের০ জাল নথিপত্র তৈরি করে অরুণাচল প্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্যে জালিয়াতি করে গাড়ি পাঠিয়েছে। এরপর এই গাড়িগুলি চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের কাছে কম মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। ইডি প্রাথমিকভাবে ফেমা আইনের ৩, ৪ ও ৮ নম্বর ধারা লঙ্ঘনের সন্দেহ করছে, যার মধ্যে অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন এবং হাওলা পেমেন্ট জড়িত। মামলাটি সাম্প্রতিক কাস্টমস তদন্ত থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন-ট্রাম্প ‘ভিসা বোমা’ বিপর্যয়! দিশেহারা মার্কিন সংস্থাগুলি, কর্মীদের বিশেষ বার্তা Nvidia-র
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর, 'অপারেশন নুমখোর'- এর অংশ হিসেবে, কাস্টমস আধিকারিকরা প্রায় ৩০টি স্থান থেকে ৩৬টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করেন, যার মধ্যে তিন অভিনেতার বাসভবনও রয়েছে। একই ঘটনায়, কেরল হাইকোর্ট মঙ্গলবার দুলকার সলমনকে তার জব্দ করা গাড়ির সাময়িক মুক্তির জন্য আবেদনের অনুমতি দিয়েছে। যেখানে সলমন দাবি করেছিলেন যে, তিনি গাড়ির ডিলারদের কাছ থেকে সৎবিশ্বাসে গাড়ি কিনেছিলেন, কিন্তু নথিপত্রে রয়েছে যে এটি আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি দ্বারা নয়া দিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল। গত মাসের ২৩ সেপ্টেম্বর কেরলের কাস্টমস এবং কেন্দ্রীয় আবগারি বিভাগ কয়েকজন অভিনেতা, ব্যবসায়ী এবং কয়েকটি গাড়ির ডিলার শিপের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। তখনও অভিনেতা দুলকার সলমন এবং পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ইডি জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং আগামী দিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসতে পারে।