পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের অন্তত এক ডজন এলাকায় অভিযানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ সহ একাধিক আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগের জেরে এই অভিযান।
সূত্রের খবর, বাংলার অন্তত চারটি জায়গায় ও ঝাড়খণ্ডের আটটি জায়গায় এই অভিযান শুরু হয়েছে। কলকাতার ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বাসভবন ও অফিসেও তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, অমিত আগরওয়ালকে আগেই ইডি গ্রেফতার করেছিল। তারপর শুরু হয়েছে দফায় দফায় তল্লাশি। ব্য়বসায়ীর বাড়ির সামনে থাকা একটি মিনি কুপার গাড়িতেও চলে তল্লাশি। সল্ট লেকের দু জায়গায়, যোধপুর পার্ক ও নোনাপুকুর এলাকায় চলছে ইডির তল্লাশি।
অভিযোগ উঠেছে ঝাড়খণ্ডে সেনার একরের পর একর জমি, জমি মাফিয়ারা ও রাজনীতিবিদরা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছে। সেই জমি কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডে ব্যপকভাবে অভিযান শুরু করেছে ইডি।
এদিকে গত মাসেই ইডি অমিত আগরওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল। আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৩১ জুলাই আইনজীবী রাজীব কুমারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই ইডি অমিত আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেই মামলা থেকে নিজের নামটি বাদ দেওয়ার জন্য আইনজীবী রাজীব কুমারকে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন অমিত আগরওয়াল। অভিযোগ এমনটাই। সেই সূত্র ধরেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন দুজনেই। আপাতত অমিতের ঠিকানা ঝাড়খণ্ডের বিরসা মুণ্ডা সেন্ট্রাল জেল।